Html and web design details


     আইপি অ্যাড্রেস(IP address): ইন্টারনেট বা নেটওয়ার্কে যুক্ত প্রতিটি কম্পিউটার বা যন্ত্রের এবং ওয়েবসাইটের একটি অদ্বিতীয় ঠিকানা থাকে এ ঠিকানাকে বলা হয় আইপি অ্যাড্রেস(IP Address- Internet Protocol Address)।

আইপি অ্যাড্রেস দুই প্রকার – 
১। ইন্টারনেট প্রোটকল ভার্সন ৪ (IPV4)
২। ইন্টারনেট প্রোটকল ভার্সন ৬ (IPV6):

ইন্টারনেট প্রোটকল ভার্সন ৪ (IPV4):বর্তমানে IPV4 বহুল ব্যবহিত আইপি অ্যাড্রেস। IPV4 এ প্রতিটি আইপি অ্যাড্রেসকে প্রকাশের জন্য মোট চারটি অকটেট (৮ বিটের বাইনারি) অর্থাৎ মোট ৩২ বিট প্রয়োজন । প্রতিটি অকটেট ডট (.) দ্বারা পৃথক করা হয়। IPV4 এ মোট ২৩২ সংখ্যক অদ্বিতীয় অ্যাড্রেস পাওয়া যায়। IPV4 এর অ্যাড্রেস সাধারণত Decimal ফরম্যাটে লেখা হয়। 

ইন্টারনেট প্রোটকল ভার্সন ৬ (IPV6): IPV6 এ প্রতিটি আইপি অ্যাড্রেসকে প্রকাশের জন্য মোট আটটি ভাগ থাকে এবং প্রতি ভাগে ১৬ বিট অর্থাৎ মোট ১২৮ বিট প্রয়োজন। প্রতিটি ভাগ ডট (.) দ্বারা পৃথক করা হয়। IPV6 এ মোট ২১২৮ সংখ্যক অদ্বিতীয় অ্যাড্রেস পাওয়া যায়। IPV6 এর অ্যাড্রেস সাধারণত Hexadecimal ফরম্যাটে লেখা হয়।

IPV4 এবং IPV6 এর মধ্যে পার্থক্যঃ 
IPV4:
১৯৮১ সালে আবিষ্কার
৩২ বিট অ্যাড্রেস
ডেসিম্যাল নোটেশন
৩২ সংখ্যক অদ্বিতীয় অ্যাড্রেস পাওয়া যায়

IPV6:
১৯৯৯ সালে আবিষ্কার
১২৮ বিট অ্যাড্রেস
হেক্সাডেসিম্যাল নোটেশন
১২৮ সংখ্যক অদ্বিতীয় অ্যাড্রেস পাওয়া যায়


ওয়েব অ্যাড্রেস অথবা URL: প্রতিটি ওয়েবসাইটের একটি সুনির্দিষ্ট ও অদ্বিতীয় ঠিকানা রয়েছে যার সাহায্যে ইন্টারনেটে সংযুক্ত থেকে ওয়েব ব্রাউজারের সাহায্যে যেকোন জায়গা থেকে ঐ ওয়েবসাইটের পেইজগুলো ব্রাউজ করা যায়; সেই ঠিকানাকে ওয়েব অ্যাড্রেস বলে। ওয়েব অ্যাড্রেস URL নামেও পরিচিত। URL অর্থ Universal /Uniform Resource Locator । একটি ওয়েব অ্যাড্রেস বা URL এর কয়েকটি অংশ থাকে।

চিত্রের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হল-
1. Protocol
2. Domain Name
3. Directory
4. File Name or Document

Name Protocol: প্রোটকল হল কতগুলো নিয়মের সমষ্টি । উপরের URL এ http একটি প্রোটকল যা HTML ডকুমেন্ট এক্সেস করার জন্য ব্যবহার করা হয়। কিছু প্রোটকলের উদাহরণ-
HTTP – Hyper Text Transfer Protocol
FTP – File Transfer Protocol
IP – Internet Protocol 
 ডোমেইন নেম: ডোমেইন নেম হচ্ছে একটি স্বতন্ত্র টেক্সট এড্রেস যা আইপি অ্যাড্রেস কে প্রতিনিধিত্ব করে। www.facebook.com এর পরিবর্তে 31.13.78.35 এই আইপি অ্যাড্রেস এর মাধ্যমেও facebook এর ওয়েবসাইট ব্রাউজ করা যায়। অর্থাৎ facebook ডোমেইন আইপি অ্যাড্রেস 31.13.78.35 কে প্রতিনিধিত্ব করছে। মানুষ আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার না করে ডোমেইন নেম ব্যবহার করে। কারণ একসাথে অনেক গুলো আইপি মনে রাখা কষ্টকর কিন্তু ডোমেইন নেম মনে রাখা সহজ।   
ডোমেইন ধরনঃ ডোমেইন নামের দুটি অংশ থাকে। ডট এর পূর্বের অংশকে ডোমেইন নাম এবং ডট এর পরের অংশকে টপ লেভেল ডোমেইন বলা হয় যা ডোমেইন এর ধরণ নির্দেশ করে । এটি দেখে ওয়েবসাইটটির প্রতিষ্ঠানের ধরণ বুঝা যায়। 

Directory বা পাথঃ সার্ভার কম্পিউটারের একটি ফোল্ডার যেখানে পেইজগুলো অবস্থান করে। যেমন- উপরের URL এর p হলো directory ।

ডকুমেন্ট নেইমঃ ওয়েব পেইজের বা ফাইল নেইম। যেমন – উপরের URL এর hsc.html হলো ওয়েব পেইজের বা ফাইল নেইম। 

টপ লেভেল ডোমেইন-ডোমেইন ধরন
.com-      বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান
.mil-       মার্কিন সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত
.gov-       রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান
.edu-       শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
.net-        নেটওয়ার্ক সার্ভিস
.org-       অলাভজনক প্রতিষ্ঠান
.int-        আন্তর্জাতিক সংস্থা

কান্ট্রি কোড-কান্ট্রি নেম
.bd-  Bangladesh
.uk-  United Kingdom
.us-  United States
.in-  India
.au-  Australia
.cn-  China
.jp-  Japan
.ru-  Russia
.fr-  France
.ca-  Canada                                                          গঠন বৈচিত্রের ওপর ভিত্তি করে ওয়েবসাইটকে সাধারণত দুইভাবে ভাগ করা যায়। যথা-

১। স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট 
২। ডাইনামিক ওয়েবসাইট

স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটঃ যে সকল ওয়েবসাইটের কনটেন্ট ওয়েবসাইট চালু অবস্থায় পরিবর্তন করা যায় না। অর্থাৎ কোড পরিবর্তন না করে কনটেন্ট যুক্ত, ডিলিট এবং আপডেট করা যায় না তাকে স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট বলে। স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট শুধু HTML এবং CSS দিয়েই তৈরি করা যায়। 

ডাইনামিক ওয়েবসাইটঃ যে সকল ওয়েবসাইটের কনটেন্ট ওয়েবসাইট চালু অবস্থায় পরিবর্তন করা যায়। অর্থাৎ কোড পরিবর্তন না করেই কনটেন্ট যুক্ত, ডিলিট এবং আপডেট করা যায় তাকে ডাইনামিক ওয়েবসাইট বলে। ডাইনামিক ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য HTML,CSS এর সাথে স্ক্রিপ্টিং ভাষা যেমন- PHP বা ASP.Net ইত্যাদি এবং এর সাথে ডেটাবেজ যেমন- MySQL বা SQL ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।

স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট ও ডাইনামিক ওয়েবসাইটের মধ্যে পার্থক্যঃ 

স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট
১,পেজের সংখ্যা কম থাকে।
২,ব্যবহারকারীরা নিজের চাহিদামত তথ্য পরিবর্তন করতে পারে না।
৩,যে কোন সময় যে কোন ধরনের তথ্য বা মন্তব্য আপডেট করা যায় না।
৪,তুলনামুলক কম ব্যয়বল্হল।
৫,ব্রাউজিংয়ে বেশি কম সময় লাগে।
৬,তুলনামুলকভাবে বেশি নিরাপদ

ডাইনামিক ওয়েবসাইট
১,তুলনামুলক ভাবে পেজের সংখ্যা থাকে।
২,ব্যবহারকারীরা নিজে চাহিদামত তথ্য পরিবর্তন করতে পারে।
৩,যে কোন সময় যে কোন ধরনের তথ্য বা মন্তব্য আপডেট করা যায়।
৪,ব্রাউজিংযে বেশি সময় লাগে।
৫,তুলনামুলক ব্যয়বহুল।
৬,তুলনামুলকভাবে কম নিরাপদ।

ওয়েবসাইটের কাঠামোঃ ওয়েবসাইটের কাঠামো বলতে বুঝায় ওয়েবসাইটের পেজগুলো কিভাবে একে অপরের সাথে সংযুক্ত আছে। যেমনঃ সাব-পেজ গুলো কিভাবে একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে।

ওয়েবসাইটের বৈশিষ্ট্য অনুসারে ওয়েবসাইটের কাঠামোকে চার ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ
১। লিনিয়ার/ সিকুয়েন্স কাঠামো
২। ট্রি/ হায়ারারকি কাঠামো
৩। নেটওয়ার্ক/ ওয়েব লিঙ্কড কাঠামো
৪। হাইব্রিড/ কম্বিনেশনাল কাঠামো

লিনিয়ার/ সিকুয়েন্স কাঠামোঃ যখন কোন ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পেইজগুলো একটি নির্দিষ্ট ক্রমানুসারে একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে তখন
www.webschoolbd.com/2018/11/hsc-ict-chapter4.5.html

ঐ ওয়েবসাইটের কাঠামোকে লিনিয়ার/ সিকুয়েন্স কাঠামো বলে। কোন পেইজের পর কোন পেইজে যাওয়া যাবে তা ওয়েবপেইজের ডিজাইনার ঠিক করে থাকে। পেইজগুলোতে Next, Previous ইত্যাদি কয়েকটি লিংকের মাধ্যমে Visitor প্রতিটি পেইজ দেখতে পারে।

ট্রি কাঠামো/ হায়ারারকিস কাঠামোঃ 
এই কাঠামোতে একটি হোম পেজ থাকে এবং অন্যান্য পেজ গুলো হোম পেজের সাথে যুক্ত থাকে, এদেরকে সাব-পেজ বলে। সাব পেজ গুলোর সাথে আরও অন্যান্য পেজ যুক্ত থাকে। কাঠামোটি দেখতে ট্রি এর মত বলে এই কাঠামোকে ট্রি কাঠামো বলে।
www.webschoolbd.com/2018/11/hsc-ict-chapter4.5.html

নেটওয়ার্ক/ ওয়েব লিঙ্কড কাঠামোঃ এই কাঠামোতে সবগুলো ওয়েবপেজের সাথেই সবগুলোর সরাসরি লিংক থাকে । অর্থাৎ একটি মেইন পেজের সাথে যেমন অন্যান্য পেজের লিংক থাকবে, তেমন প্রতিটি পেজ তাদের নিজেদের সাথে ও মেইন পেইজের লিংক থাকবে।
www.webschoolbd.com/2018/11/hsc-ict-chapter4.5.html

কম্বিনেশনাল/ হাইব্রিড কাঠামোঃ যে ওয়েবসাইটের পেইজগুলো একাধিক ভিন্ন কাঠামো দ্বারা এক-অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে, তাকে কম্বিনেশনাল বা হাইব্রিড কাঠামো বলে।
www.webschoolbd.com/2018/11/hsc-ict-chapter4.5.html

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.