Data&information


উপাত্তঃ সুনির্দিষ্ট ফলাফল বা আউটপুট পাউয়ার জন্য প্রসেসিংয়ে ব্যবহিত কাঁচামাল সমুহকে ডেটা বা উপাত্ত বলে। অন্যভাবে বলা যায়- তথ্যের ক্ষুদ্রতম একককে বলা হয় উপাত্ত।Data এর অর্থ ফ্যাক্ট(Fact) যার একবচন হলো Datum। ডেটা এক বা একাধিক বর্ণ , চিহ্ন বা সংখ্যা হতে পারে।
ডেটার প্রকারভেদ –
তথ্যঃ তথ্য হল কোন প্রেক্ষিতে সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো ডেটা যা অর্থবহ এবং ব্যবহারযোগ্য। অন্যভাবে বলা যায়- ডেটা প্রক্রিয়াকরণ পরবর্তী অর্থপূর্ণ রূপ হলো ইনফরমেশন বা তথ্য। মানুষ বিভিন্ন কাজে ইনফরমেশন ব্যবহার করে।
উপাত্ত ও তথ্যের উদাহরণ
কোন ছাত্রের প্রতিটি বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর হল ডেটা । অপরপক্ষে সকল বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বর হিসাব করে তৈরি করা ফলাফল বা রিপোর্ট হলো তথ্য।
উপাত্ত ও তথ্যের মধ্যে পার্থক্য
যোগাযোগঃ কোন যন্ত্রের মাধ্যমে নির্ভরযোগ্যভাবে তথ্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে আদান-প্রদান করাকে বলা হয় যোগাযোগ।
প্রযুক্তিঃ প্রযুক্তি হলো জ্ঞানের এমন একটি শাখা যেখানে প্রকৌশল এবং ব্যবহারিক বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করা হয়।
তথ্য প্রযুক্তিঃ তথ্য সংগ্রহ, এর সত্যতা ও বৈধতা যাচাই, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ,আধুনিকরন, পরিবহন, বিতরন ও ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিকে বলা হয় তথ্য প্রযুক্তি ।
যোগাযোগ প্রযুক্তিঃ একস্থান থেকে অন্য স্থানে নির্ভরযোগ্য ভাবে তথ্য আদান প্রদানে ব্যবহৃত প্রযুক্তিই হচ্ছে যোগাযোগ প্রযুক্তি । অন্যভাবে বলা যায়- ডেটা কমিউনিকেশন ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিকে যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে। যেমন-টেলিফোন মোবাইল, ইন্টারনেট ইত্যাদি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রকারভেদ
১। কম্পিউটিং ও ইনফরমেশন সিস্টেম– কম্পিউটিং সহ সকল ধরণের ইলেক্ট্রনিক ডেটা প্রসেসিং যেখানে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ও এক্সপার্ট সিস্টেম ইত্যাদির ব্যাবহার করা হয়।
২। ব্রডকাস্টিং – রেডিও এবং টেলিভিশন যা বিশাল জনগোষ্ঠীর কাছে একমুখী তথ্য সম্প্রচার করে থাকে ।
৩। টেলিকমিউনিকেশনস -টেলিফোন ও মোবাইল বা সেলুলার ফোনসহ সকল ধরণের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে উভমূখী ডেটা কমিউনিকেশন করে থাকে।
৪। ইন্টারনেট-ইন্টারনেট হলো পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত অসংখ্য নেটওয়ার্কের সমম্বয়ে গঠিত একটি বিরাট নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা। ইন্টারনেট কে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বলা হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.