ওয়েব ডিজাইন পরিচিত এবং Html

ওয়েব ডিজাইনঃ ওয়েব ডিজাইন হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার সাহায্যে ওয়েবপেইজের বাহ্যিক সৌন্দর্য তৈরি করা হয়। অর্থাৎ এই প্রক্রিয়ায় একটি ওয়েবপেইজ বা ওয়েবসাইটের বিভিন্ন লেআউট, রং, গঠন, গ্রাফিক্স এবং ইন্টারেক্টিভ বৈশিষ্ট্যগুলি নির্ধারন করা হয়। ওয়েব ডিজাইনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সফটওয়্যার এবং টুলস ব্যবহার করা হয়। যেমন- Dreamweaver, Photoshop ইত্যাদি।
ইন্টারনেটঃ ইন্টারনেট হলো পৃথিবীজুড়ে বিস্তৃত অসংখ্য নেটওয়ার্কের সমম্বয়ে গঠিত একটি বিরাট নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা । ইন্টারনেটকে যোগাযোগ ব্যবস্থাও বলা হয়। 1969 সালে যুক্তরাষ্ট্রে সর্বপ্রথম আরপানেট (Arpanet-Advanced Research Projects Administration Network) দিয়ে যাত্রা শুরু হয়।
ওয়েবঃ ইন্টারনেট ব্যবহার করে ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নেওয়ার প্রক্রিয়াকে বলা হয় ওয়েব। ওয়েব কে www (World Wide Web) ও বলা হয়। তিনটি  প্রযুক্তির সমন্বয়ে ওয়েব গড়ে উঠেছে। যথা-
  • প্রথমত, HTML (Hyper Text Markup Language)  যার দ্বারা ওয়েবপেইজ তৈরি করা হয়।
  • দ্বিতীয়ত, HTTP (Hyper Text Transfer Protocol)
  • তৃতীয়ত, Web browser; যে প্রোগ্রাম সার্ভার থেকে ডেটা রিসিভ ও অনুবাদ করে ক্লায়েন্টকে তার ফলাফল প্রদর্শন করে।
ওয়েবপেইজঃ ওয়েবপেইজ হলো এক ধরনের ওয়েব বা ইলেকট্রনিক ডকুমেন্ট যা সাধারণত HTML(Hypertext Markup Language) এ লেখা হয় এবং বিভিন্ন দেশের সার্ভারে রাখা হয়। যেকোন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ব্রাউজারের সাহায্যে URL এর মাধ্যমে যেকোন জায়গা থেকে এটি দেখতে পারে। একটি ওয়েবপেইজে টেক্সট, ইমেজ, ফাইল, অডিও, ভিডিও  এবং এনিমেশন ইত্যাদি থাকতে পারে। এখন যে পেইজটি পড়ছো, এটিই একটি ওয়েবপেইজের উদাহরণ।
ওয়েবসাইটঃ একই ডোমেইনের অধীনে সার্ভারে রাখা পরস্পর সংযুক্ত  এক বা একধিক ওয়েবপেইজের সমষ্টিকে ওয়েবসাইট বলে। কোন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে প্রথম যে পেইজটি প্রদর্শিত হয় তাকে হোম পেইজ বলে।
ওয়েব পোর্টালঃ ওয়েব পোর্টাল হচ্ছে বিশেষভাবে পরিকল্পিত ওয়েবসাইট যা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের লিংকের সমাহার। যেমন – www.bangladesh.gov.bd  হচ্ছে একটি ওয়েব পোর্টাল। যেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য সংবলিত ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়া আছে।
সার্ভার / সার্ভার কম্পিউটারঃ সার্ভার হলো এমন একটি কম্পিউটার যা অন্যান্য কম্পিউটারগুলিতে তথ্য সরবরাহ করে। বিভিন্ন ধরণের সার্ভার রয়েছে। যেমন- ওয়েব সার্ভার, মেইল সার্ভার, ফাইল সার্ভার ইত্যাদি। প্রতিটি সার্ভার কম্পিউটার নির্দিস্ট কাজে নির্দিষ্ট সফটওয়্যার চালায়। উদাহরণস্বরূপ, একটি ওয়েব সার্ভার Apache বা Microsoft IIS সফটওয়্যার চালাতে পারে, যা উভয়েই ইন্টারনেটের সাহায্যে ওয়েবসাইটগুলিতে অ্যাক্সেস দেয়। একটি মেইল ​​সার্ভার Exim বা iMail সফটওয়্যার চালাতে পারে, যা ইমেল প্রেরণ এবং গ্রহণ করার জন্য SMTP(Simple Mail Transfer Protocol) সেবা প্রদান করে। একটি ফাইল সার্ভার, নেটওয়ার্কে ফাইল শেয়ার করার জন্য Samba সফটওয়্যার বা অপারেটিং সিস্টেমের বিল্ট-ইন ফাইল শেয়ারিং সার্ভিস ব্যবহার করতে পারে। 
ক্লায়েন্ট / ক্লায়েন্ট কম্পিউটারঃ ক্লায়েন্ট হলো এমন একটি কম্পিউটার যা একটি দূরবর্তী কম্পিউটার বা সার্ভারকে সংযুক্ত করে এবং রিসোর্স ব্যবহার করে। ক্লায়েন্ট কম্পিউটারে বিভিন্ন ক্লায়েন্ট সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, ওয়েব ব্রাউজার (Google Chrome , Opera, Firefox, ইত্যাদি) হলো এক ধরণের ক্লায়েন্ট সফ্টওয়্যার যা ওয়েব সার্ভারের সাথে সংযোগ করে এবং ওয়েবপেইজ প্রদর্শন করে থাকে। ই-মেইল ক্লায়েন্ট মেইল সার্ভার থেকে ই-মেইল প্রদর্শন করে।   
আপলোডঃ নিজের কম্পিউটার হতে কোনো ডেটা বা ফাইল অন্যের কম্পিউটারে অথবা সার্ভারে প্রেরণকে আপলোড বলে।
ডাউনলোডঃ প্রয়োজনে অন্যের কম্পিউটার অথবা সার্ভার হতে কোন ডেটা বা ফাইল নিজের কম্পিউটারে নিয়ে আসাকে ডাউনলোড বলে।
ওয়েব ব্রাউজারঃ যে সফটওয়্যার এর সাহায্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সার্ভারে রাখা পরস্পর সংযুক্ত ওয়েবপেইজগুলো ব্রাউজ করা বা দেখা যায় তাকে ওয়েব ব্রাউজার বলে । ওয়েব ব্রাউজারের উদাহরণ – Internet Explorer, Google Chrome, Mozilla Firefox, and Apple Safari ইত্যাদি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সার্ভারে রাখা পরস্পর সংযুক্ত ওয়েবপেইজ পরিদর্শন করাকে ওয়েব ব্রাউজিং বলা হয়।
সার্চ ইঞ্জিনঃ সার্চ ইঞ্জিন হল এমন একটি সফটওয়্যার যা ব্যবহারকারীর দেওয়া কীওয়ার্ড গুলোর জন্য ওয়েবপেইজ অনুসন্ধান করে এবং সেইসব কীওয়ার্ড ধারণকারী ওয়েবপেইজগুলো ফলাফল হিসেবে উপস্থাপন করে। বর্তমানে গুগল সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সুপরিচিত সার্চ ইঞ্জিন। প্রথম অনুসন্ধান ইঞ্জিনটি “আর্কিকে” বিবেচনা করা হয়, যা এফটিপি ফাইল অনুসন্ধান করতে ব্যবহৃত হত। প্রথম টেক্সট ভিত্তিক সার্চ ইঞ্জিনটি “ভেরোনিকা” হিসাবে বিবেচিত। সার্চ ইঞ্জিনের উদাহরণ- Google, Bing and Yahoo! ইত্যাদি।
গঠন বৈচিত্রের ওপর ভিত্তি করে  ওয়েবসাইটকে সাধারণত দুইভাবে ভাগ করা যায়। যথা-
  • স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট
  • ডাইনামিক ওয়েবসাইট
স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটঃ যে সকল ওয়েবসাইটের তথ্য সাধারণত পরিবর্তন হয় না তাদেরকে স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট বলা হয়। স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের তথ্য ওয়েবসাইট চালু অবস্থায় পরিবর্তন করা কঠিন। কারণ এই ধরণের ওয়েবসাইটে কোন এডমিন প্যানেল থাকে না। অর্থাৎ তথ্য যুক্ত, আপডেট এবং ডিলিট করার জন্য কোড পরিবর্তন করতে হয়। স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট শুধু HTML(Hyper Text Markup Language) এবং CSS(Cascading Style Sheet) দিয়েই তৈরি করা যায়। যদি তথ্যের পরিবর্তন প্রয়োজন না হয়, তখন সাধারণত স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়। যেমনঃ পোর্টফোলিও সাইট।
Servlet Website2
স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের বৈশিষ্ট্য সমূহঃ
  • ১। ওয়েবসাইটের তথ্য সাধারণত পরিবর্তন হয় না।
  • ২। ওয়েবসাইট চালু অবস্থায় তথ্য পরিবর্তন করা কঠিন।
  • ৩। কোন ডেটাবেজ থাকে না । অর্থাৎ কেবলমাত্র সার্ভার থেকে ক্লায়েন্টে একমুখী কমিউনিকেশন হয়।
  • ৪। খুব দ্রুত লোড হয়।
  • ৫। HTML এবং CSS দিয়েই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়।
  • ৬। স্ট্যাটিক ওয়েবপেইজের এক্সটেনশন .html বা .htm হয়।
স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের সুবিধাঃ 
  • ১। ওয়েবসাইট ডেভলোপ করা সহজ। ফলে খরচ কম।
  • ২। খুব দ্রুত লোড হয়।
  • ৩। সহজেই ওয়েবপেইজের লে-আউট পরিবর্তন করা যায়।
  • ৪। ডেটাবেজ না থাকায় অধিক নিরাপদ।
 স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের অসুবিধাঃ 
  • ১। ওয়েবসাইটে তথ্য যুক্ত, আপডেট এবং ডিলিট করার জন্য কোড পরিবর্তন করতে হয়।
  • ২। ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ইনপুট নেওয়ার ব্যবস্থা থাকে না।
  • ৩। ওয়েবসাইটের তথ্য বেশি হলে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যায়।

ডাইনামিক ওয়েবসাইটঃ যে সকল ওয়েবসাইটের তথ্য সাধারণত পরিবর্তনশীল তাদেরকে ডাইনামিক ওয়েবসাইট বলা হয়। ডাইনামিক  ওয়েবসাইটের তথ্য ওয়েবসাইট চালু অবস্থায় সহজেই পরিবর্তন করা যায়। কারণ এই ধরণের ওয়েবসাইটে এডমিন বা ইউজার প্যানেল থাকে। অর্থাৎ একজন এডমিন বা ব্যবহারকারী তার প্যানেল থেকে কোন কোড পরিবর্তন না করেই তথ্য যুক্ত, আপডেট এবং ডিলিট করতে পারে। ডাইনামিক ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য HTML,CSS এর সাথে স্ক্রিপ্টিং ভাষা যেমন- PHP(PHP: Hypertext Preprocessor) বা ASP.Net(Active Server Page) বা JSP(Java Servlet Pages) ইত্যাদি এবং এর সাথে ডেটাবেজ যেমন- MySQL বা SQL বা Oracle ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। যদি প্রতিনিয়ত তথ্যের পরিবর্তন প্রয়োজন হয়, তখন সাধারণত ডাইনামিক ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়। যেমনঃ বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল(www.prothomalo.com), সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম(www.facebook.com) ইত্যাদি।
Servlet Website3
ডাইনামিক ওয়েবসাইটের বৈশিষ্ট্য সমূহঃ 
  • ১। ওয়েবসাইট চালু অবস্থায় কোড পরিবর্তন না করেই তথ্য যুক্ত, আপডেট এবং ডিলিট করা যায়।
  • ২। ডেটাবেজ থাকায় কুয়েরি করে তথ্য বের করা যায়।
  • ৩। সার্ভার থেকে ক্লায়েন্টে এবং ক্লায়েন্ট থেকে সার্ভারে  উভয়মুখী কমিউনিকেশন হয়।
  • ৪। ডাইনামিক ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য HTML,CSS এর সাথে স্ক্রিপ্টিং ভাষা যেমন- PHP বা ASP.Net বা JSP ইত্যাদি এবং এর সাথে ডেটাবেজ যেমন- MySQL বা SQL বা Oracle ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
  • ৫। ডাইনামিক ওয়েবপেইজের এক্সটেনশন .php বা .asp বা .jsp হয়।
ডাইনামিক ওয়েবসাইটের সুবিধাঃ 
  • ১। ওয়েবসাইট চালু অবস্থায় কোড পরিবর্তন না করেই তথ্য যুক্ত, আপডেট এবং ডিলিট করা যায়।
  • ২। নির্ধারিত ব্যবহারকারীর জন্য নির্ধারিত ওয়েবপেইজ প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা যায়। অর্থাৎ ব্যবহারকারীর প্রোফাইল তৈরি করা যায়।
  • ৩। সার্ভার থেকে ক্লায়েন্টে এবং ক্লায়েন্ট থেকে সার্ভারে  উভমুখী কমিউনিকেশন হয়।
  • ৪। অনেক বেশি তথ্যবহুল হতে পারে।
ডাইনামিক ওয়েবসাইটের অসুবিধাঃ 
  • ১। ডেটাবেজ ব্যবহৃত হয়, ফলে লোড হতে বেশি সময় নেয়।
  • ২। ওয়েবসাইট ডেভলোপ করা কঠিন। ফলে খরচ বেশি।

স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট ও ডাইনামিক ওয়েবসাইটের মধ্যে পার্থক্যঃ 
স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটডাইনামিক ওয়েবসাইট
যে সকল ওয়েবসাইটের তথ্য সাধারণত পরিবর্তন হয় না তাদেরকে স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট বলা হয়।যে সকল ওয়েবসাইটের তথ্য সাধারণত পরিবর্তনশীল তাদেরকে ডাইনামিক ওয়েবসাইট বলা হয়।
HTML এবং CSS দিয়েই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়।ডাইনামিক ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য HTML,CSS এর সাথে স্ক্রিপ্টিং ভাষা যেমন- PHP বা ASP.Net বা JSP ইত্যাদি এবং এর সাথে ডেটাবেজ যেমন- MySQL বা SQL বা Oracle ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
কোন ডেটাবেজ থাকে না । অর্থাৎ কেবলমাত্র সার্ভার থেকে ক্লায়েন্টে একমুখী কমিউনিকেশন হয়।ডেটাবেজ থাকে। অর্থাৎ সার্ভার থেকে ক্লায়েন্টে এবং ক্লায়েন্ট থেকে সার্ভারে  উভমুখী কমিউনিকেশন হয়।
ওয়েবসাইট ডেভলোপ করা সহজ। ফলে খরচ কম।ওয়েবসাইট ডেভলোপ করা কঠিন। ফলে খরচ বেশি।
যেমনঃ পোর্টফোলিও সাইট।যেমনঃ বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল(www.prothomalo.com), সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম(www.facebook.com) ইত্যাদি।

ব্যবহারের ভিত্তিতে ওয়েবসাইটের প্রকারভেদঃ

আর্কাইভ ওয়েবসাইটঃ এই সকল ওয়েবসাইট সাধারণত পুরাতন কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ,ছবি, অডিও এবং ভিডিও প্রদর্শন করার জন্য তৈরি করা হয়।
বিজনেস ওয়েবসাইটঃ ব্যবসায়িক সেবাদান, প্রচার, প্রসার ইত্যাদি উদ্দেশ্যে এই সকল ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়।
ই-কমার্স ওয়েবসাইটঃ যে সকল ওয়েবসাইটে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় এবং মূল্য পরিশোধ করার ব্যবস্থা থাকে তাদেরকে ই-কমার্স ওয়েবসাইট বলা হয়। যেমন- amazon.com, alibaba.com ইত্যাদি।
সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইটঃ এই সকল ওয়েবসাইট সাধারণত সামাজিক যোগাযোগের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়।
ব্লগ ওয়েবসাইটঃ যখন কোন ব্যক্তি কোন নির্দিস্ট এক বা একাধিক বিষয়ের উপর লেখা প্রকাশের উদ্দেশ্যে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে, তখন ঐ ওয়েবসাইটকে সাধারণত ব্লগিং সাইট বা ব্লগ ওয়েবসাইট বলা হয়।যেমনঃ ictguro.blogspot.com
নিউজ ওয়েবসাইটঃ চলমান সংবাদ বিশ্বের যেকোন প্রান্তে প্রচার করার জন্য যেসকল ওয়েবসাইট তৈরি করা হয় তাদেরকে নিউজ পোর্টাল বলা হয়।যেমন- bbc.com, prothomalo.com ইত্যাদি।
আইপি অ্যাড্রেস(IP address): IP Address এর পূর্নরুপ Internet Protocol Address। ইন্টারনেট বা নেটওয়ার্কে যুক্ত প্রতিটি কম্পিউটার বা যন্ত্রের একটি অদ্বিতীয় অ্যাড্রেস বা ঠিকানা থাকে এই অদ্বিতীয় অ্যাড্রেসকে বলা হয় আইপি অ্যাড্রেস।
আইপি অ্যাড্রেস দুই প্রকার – IPV4 এবং IPV6
IPV4: IPV4 হলো Internet Protocol Version-4 । বর্তমানে  IPV4 বহুল ব্যবহৃত আইপি অ্যাড্রেস। IPV4 এ প্রতিটি আইপি অ্যাড্রেসকে প্রকাশের জন্য মোট চারটি অকটেট (৮ বিটের বাইনারি) অর্থাৎ মোট ৩২ বিট প্রয়োজন । প্রতিটি অকটেট ডট (.) দ্বারা পৃথক করা হয়। IPV4 দ্বারা মোট ২৩২ সংখ্যক অদ্বিতীয় অ্যাড্রেস তৈরি করা যায়। IPV4 এর অ্যাড্রেস সাধারণত Decimal ফরম্যাটে লেখা হয়। প্রতিটি ভাগের ডেসিমেল সংখ্যাটি ০ থেকে ২৫৫ এর মধ্যের কোন একটি সংখ্যা হয়।


IPV6: IPV6 হলো Internet Protocol Version-6। IPV6 এ প্রতিটি আইপি অ্যাড্রেসকে প্রকাশের জন্য মোট আটটি ভাগ থাকে এবং প্রতি ভাগে ১৬ বিট অর্থাৎ মোট ১২৮ বিট প্রয়োজন। প্রতিটি ভাগ ডট (.) দ্বারা পৃথক করা হয়। IPV6 দ্বারা মোট ২১২৮ সংখ্যক অদ্বিতীয় অ্যাড্রেস তৈরি করা যায়। IPV6 এর অ্যাড্রেস সাধারণত Hexadecimal ফরম্যাটে লেখা হয়।

IPV4  এবং IPV6 এর মধ্যে পার্থক্যঃ 
IPV4IPV6
১৯৮১ সালে আবিষ্কার।১৯৯৯ সালে আবিষ্কার।
৩২ বিট অ্যাড্রেস।১২৮ বিট অ্যাড্রেস।
৩২ সংখ্যক অদ্বিতীয় অ্যাড্রেস পাওয়া যায়।১২৮ সংখ্যক অদ্বিতীয় অ্যাড্রেস পাওয়া যায়।
ডেসিমেল নোটেশন।হেক্সাডেসিমেল নোটেশন।

ওয়েব অ্যাড্রেস অথবা URL: প্রতিটি ওয়েবসাইটের একটি সুনির্দিষ্ট ও অদ্বিতীয় অ্যাড্রেস বা ঠিকানা রয়েছে যার সাহায্যে ইন্টারনেটে সংযুক্ত থেকে ওয়েব ব্রাউজারের সাহায্যে যেকোন জায়গা থেকে ঐ ওয়েবসাইটের পেইজগুলো ব্রাউজ করা যায়; সেই ঠিকানাকে ওয়েব অ্যাড্রেস বলে। ওয়েব অ্যাড্রেস URL নামেও পরিচিত। URL অর্থ Universal /Uniform Resource Locator । একটি ওয়েব অ্যাড্রেস বা URL এর কয়েকটি অংশ থাকে। চিত্রের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হল-

http://hsc.edupoint.com.bd/ict/robotics.html

  • 1. Protocol (http://hsc.edupoint.com.bd/ict/robotics.html)
  • 2. Domain Name (http://hsc.edupoint.com.bd/ict/robotics.html)
    1. Sub-domain (http://hsc.edupoint.com.bd/ict/robotics.html)
    2. Domain (http://hsc.edupoint.com.bd/ict/robotics.html)
    3. Top-level Domain (http://hsc.edupoint.com.bd/ict/robotics.html)
      1. Generic Domain (http://hsc.edupoint.com.bd/ict/robotics.html)
      2. Country Domain (http://hsc.edupoint.com.bd/ict/robotics.html)
  • 3. Directory (http://hsc.edupoint.com.bd/ict/robotics.html)
  • 4. File Name or Document Name (http://hsc.edupoint.com.bd/ict/robotics.html)

Protocol: প্রোটোকল হল কতগুলো নিয়মের সমষ্টি । উপরের URL এ http একটি প্রোটোকল যা HTML ডকুমেন্ট এক্সেস করা বা ওয়েব সার্ভার ও ক্লায়েন্টের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান করে থাকে।  কিছু প্রোটোকলের উদাহরণ-
  • HTTP – Hyper Text Transfer Protocol
  • HTTPS- Hyper Text Transfer Protocol Secure
  • FTP – File Transfer Protocol
  • IP – Internet Protocol
  • TCP- Transmission Control Protocol

ডোমেইন নেইম : ডোমেইন নেইম হচ্ছে একটি স্বতন্ত্র টেক্সট অ্যাড্রেস যা আইপি অ্যাড্রেসকে প্রতিনিধিত্ব করে। www.facebook.com এর পরিবর্তে 31.13.78.35 এই আইপি অ্যাড্রেস এর মাধ্যমেও facebook এর ওয়েবসাইট ব্রাউজ করা যায়। অর্থাৎ www.facebook.com ডোমেইন নেইমটি, আইপি অ্যাড্রেস 31.13.78.35 কে প্রতিনিধিত্ব করছে। মানুষ আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার না করে ডোমেইন নেইম ব্যবহার করে। কারণ আইপি অ্যাড্রেস সংখ্যাবাচক তাই মনে রাখা কষ্টকর কিন্তু ডোমেইন নেইম টেক্সট অ্যাড্রেস তাই মনে রাখা সহজ।
প্রতিটি ডোমেইন নেইম এর তিনটি অংশ থাকে। যথা-
  • ১। সাব-ডোমেইন
  • ২। ডোমেইন
  • ৩। টপ-লেভেল ডোমেইন(TLD)
সাব-ডোমেইনঃ সাব-ডোমেইন মূল ডোমেইনের অংশ যাকে তৃতীয় স্তরের ডোমেইনও বলা হয়। একটি ওয়েবসাইটকে বিভিন্ন সেকশনে ভাগ করতে সাব-ডোমেইন ব্যবহৃত হয়। যেমন- www.google.com একটি ডোমেইন যার সাব-ডোমেইন হল maps.google.com। অর্থাৎ google এর maps সেকশনটি আলাদা করতে maps.google.com সাব-ডোমেইন ব্যবহৃত হয়।
টপ-লেভেল ডোমেইন(TLD): TLD দ্বারা প্রতিষ্ঠানের ধরণ এবং প্রতিষ্ঠানটি কোন দেশের তা বুঝা যায়। TLD এর দুইটি অংশ। জেনেরিক ডোমেইন এবং কান্ট্রি ডোমেইন।
জেনেরিক ডোমেইনঃ জেনেরিক ডোমেইন যা প্রতিষ্ঠানটির ধরণ নির্দেশ করে ।
জেনেরিক ডোমেইনপ্রতিষ্ঠানের ধরন
.comবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান
.milমার্কিন সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত
.govরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান
.eduশিক্ষা প্রতিষ্ঠান
.netনেটওয়ার্ক সার্ভিস
.orgঅলাভজনক প্রতিষ্ঠান
.intআন্তর্জাতিক সংস্থা

কান্ট্রি ডোমেইনঃ ওয়েব অ্যাড্রেস এর একেবারে শেষের অংশ যা প্রতিষ্ঠানটি কোন দেশের তা নির্দেশ করে। কান্ট্রি ডোমেইন সকল ওয়েবসাইটের জন্য অত্যাবশ্যকীয় নয়। যেমন-  www.edupoint.com.bd । এই ওয়েব অ্যাড্রেস এর একে বারে শেষে bd লেখা আছে। অর্থাৎ এই ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশের নির্দেশ করে।
কান্ট্রি ডোমেইন কান্ট্রি নেইম
.bdBangladesh
.ukUnited Kingdom
.usUnited States
.inIndia
.auAustralia
.cnChina
.ruRussia
.frFrance
.caCanada

Directory বা পাথঃ  সার্ভার কম্পিউটারের একটি ফোল্ডার যেখানে ওয়েব পেইজগুলো অবস্থান করে। যেমন- উপরের URL এর ict হলো directory ।
ডকুমেন্ট নেইমঃ ওয়েব পেইজের বা ফাইল নেইম। যেমন – উপরের URL এর robotics.html হলো ওয়েব পেইজের বা ফাইল নেইম।
DNS সার্ভার: DNS সার্ভার এর পূর্নরুপ Domain Name System সার্ভার। আমরা যখন ব্রাউজারে কোন ওয়েব অ্যাড্রেস লিখে রিকুয়েস্ট করি, তখন ব্রাউজার প্রথমে ঐ ওয়েব অ্যাড্রেসের জন্য IP অ্যাড্রেস চেয়ে DNS সার্ভারে রিকুয়েস্ট পাঠায়। DNS সার্ভারে সকল ওয়েব অ্যাড্রেসের বিপরিতে IP অ্যাড্রেসগুলো সংরক্ষিত থাকে। তাই DNS সার্ভার ওয়েব অ্যাড্রেসের বিপরিতে IP অ্যাড্রেস ব্রাউজারকে রিটার্ন করে। তারপর ব্রাউজার ঐ IP অ্যাড্রেসের ওয়েব সার্ভারে ওয়েবসাইটের জন্য রিকুয়েস্ট পাঠায় এবং ওয়েবসাইটটি প্রদর্শিত হয়।


ওয়েবসাইটের কাঠামোঃ ওয়েবসাইটের কাঠামো বলতে বুঝায় ওয়েবসাইটের পেইজগুলো কিভাবে একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকবে। যেমনঃ হোম পেইজের সাথে সাব-পেইজগুলো আবার সাব-পেইজগুলো নিজেদের মধ্যে কিভাবে একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকবে।
ওয়েবসাইটে একাধিক ওয়েবপেইজ থাকলে পেইজগুলো একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে। ওয়েবপেইজগুলো তাদের সংযোগের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন নামের হয়ে থাকে। একটি ওয়েবসাইটে সাধারণত তিন ধরণের ওয়েবপেইজ থাকে। যেমন- হোম পেইজ, মূল ধারার পেইজ এবং উপধারার পেইজ।
হোম পেইজঃ কোন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে প্রথম যে পেইজটি প্রদর্শিত হয় তাকে হোম পেইজ বলে। হোম পেইজে সাধারণত প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য, লক্ষ ও উদ্দেশ্য ইত্যাদি উপস্থাপন করা হয় এবং মূল ধারার পেইজগুলো মেনুবারে  সংযুক্ত করা হয়। হোম পেইজের এই মেনুবারকে মেইন সেকশন বা ‘site index’ বলা হয়।
মূল ধারার পেইজঃ মূল ধারার পেইজগুলোতে সাধারণত একটি নির্দিস্ট বিভাগের তথ্য থাকে এবং পেইজগুলো হোম পেইজের মেনুবারে সংযুক্ত থাকে। যেমন- একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের হোম পেইজের মেনুবারে বিভিন্ন বিভাগের পেইজগুলো সংযুক্ত থাকে। প্রতিটি বিভাগের জন্য পেইজগুলোকে মূল ধারার পেইজ বলা হয়।
উপধারার পেইজঃ উপধারার পেইজগুলোতে একটি নির্দিস্ট বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য থাকে এবং পেইজগুলো মূল ধারার পেইজের সাথে সংযুক্ত থাকে। যেমন- একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের হোম পেইজের মেনুবারে বিভিন্ন বিভাগের পেইজগুলো সংযুক্ত থাকে। প্রতিটি বিভাগের জন্য পেইজগুলোকে মূল ধারার পেইজ বলা যায়। আবার প্রতিটি বিভাগের জন্য ভর্তি তথ্য, সিলেবাস, নোটিশ ইত্যাদির বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপনের জন্য পেইজ থাকে। এই পেইজগুলোকে উপধারার পেইজ বলা হয়।

ওয়েবসাইটের বৈশিষ্ট্য অনুসারে ওয়েবসাইটের কাঠামোকে চার ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ
  • ১। লিনিয়ার/ সিকুয়েন্সিয়াল কাঠামো
  • ২। ট্রি/হায়ারার্কিক্যাল কাঠামো
  • ৩। নেটওয়ার্ক/ ওয়েব লিঙ্কড কাঠামো
  • ৪। হাইব্রিড/ কম্বিনেশনাল কাঠামো

লিনিয়ার/ সিকুয়েন্সিয়াল কাঠামোঃ যখন কোন ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পেইজগুলো একটি নির্দিষ্ট ক্রমানুসারে একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে তখন ঐ ওয়েবসাইটের কাঠামোকে লিনিয়ার/ সিকুয়েন্স কাঠামো বলে। কোন পেইজের পর কোন পেইজে যাওয়া যাবে তা ওয়েবপেইজের ডিজাইনার ঠিক করে থাকে। পেইজগুলোতে Next, Previous, first ও last ইত্যাদি লিংকের মাধ্যমে Visitor প্রতিটি পেইজ দেখতে পারে। কোন বই যদি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পড়ার ব্যবস্থা করা হয় তখন এই ধরণের কাঠামো ব্যবহৃত হয়।

ট্রি/হায়ারার্কিক্যাল কাঠামোঃ এই কাঠামোতে একটি হোম পেইজ থাকে এবং অন্যান্য পেইজ গুলো হোম পেইজের  সাথে যুক্ত থাকে, এদেরকে সাব-পেইজ বলে। সাব-পেইজ গুলোর সাথে আরও অন্যান্য পেইজ যুক্ত থাকে। কাঠামোটি দেখতে ট্রি এর মত বলে এই কাঠামোকে ট্রি কাঠামো বলে। ওয়েবসাইট কাঠামোগুলোর মধ্যে ট্রি কাঠামো সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয়। এই ধরণের কাঠামোতে হোম পেইজে মেনু এবং সাব-মেনু তৈরি করা থাকে।

নেটওয়ার্ক/ ওয়েব লিঙ্কড কাঠামোঃ এই কাঠামোতে সবগুলো ওয়েবপেইজের সাথেই সবগুলোর সরাসরি লিংক থাকে । অর্থাৎ একটি হোম পেইজের সাথে যেমন অন্যান্য পেইজের লিংক থাকে, তেমন প্রতিটি পেইজ আবার তাদের নিজেদের সাথেও  লিংক থাকে। এই কাঠামোতে ফ্রেম ব্যবহার করা হয় যাতে ফ্রেমের মধ্যে অন্যান্য পেইজের লিংক মেনু আকারে উপস্থাপন করা যায়। এই ফ্রেমটি সাধারণত স্থির থাকে এবং কোন একটি লিংক সিলেক্ট করলে ঐ পেইজটি বড় ফ্রেমের মধ্যে দেখায়।

কম্বিনেশনাল/ হাইব্রিড কাঠামোঃ যে ওয়েবসাইটের পেইজগুলো একাধিক ভিন্ন কাঠামো দ্বারা একে-অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে, তাকে কম্বিনেশনাল বা হাইব্রিড কাঠামো বলে। অধিকাংশ ওয়েবসাইটের কাঠামো হাইব্রিড হয়ে থাকে।


HTML এর মৌলিক বিষয় সমূহঃ

HTML এর পূর্নরুপ Hyper Text Markup Language যা মুলত ওয়েবপেইজ এবং ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়। HTML একটি ওয়েব পেইজের গঠন বর্ণনা করে। HTML কতকগুলো মার্কআপ ট্যাগ বা এলিমেন্ট এর সমষ্টি। এই মার্কআপ ট্যাগের কাজ হল ওয়েবপেইজে বিভিন্ন তথ্য কিভাবে প্রদর্শন করবে তা ব্রাউজারকে নির্দেশ দেওয়া। ব্রাউজারগুলো HTML ট্যাগসমূহকে প্রদর্শন করে না, তবে ওয়েব পেইজের তথ্য রেন্ডার বা প্রদর্শন করতে ব্যবহার করে। HTML দ্বারা তৈরি ফাইলসমুহের এক্সটেনশন .html অথবা .htm হয় যা সাধারণত ওয়েবপেইজ নামে পরিচিত।
গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসমূহ:
  • হাইপারটেক্সট( Hyper Text) বলতে “টেক্সট এর মধ্যে টেক্সট”। অর্থাৎ যখন একটি টেক্সটের মধ্যে একটি লিঙ্ক থাকে, তখন একে হাইপারটেক্সট বলে। আপনি যখনই কোনও লিঙ্কে ক্লিক করেন যা আপনাকে নতুন ওয়েব পেইজে নিয়ে আসে, তখন আপনি হাইপারটেক্সটে ক্লিক করেছেন। হাইপারটেক্সট হলো দুই বা ততোদিক ওয়েব পেইজ (HTML ডকুমেন্টস) একে অপরের সাথে লিঙ্ক করার একটি উপায়।
  • মার্কআপ(Markup) শব্দটি সেই চিহ্নগুলিকে বোঝায় যা ওয়েব পেইজের কাঠামো নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয়। মার্কআপ চিহ্নগুলোর কাজ হল ওয়েবপেইজে বিভিন্ন তথ্য কিভাবে প্রদর্শন করবে তা ব্রাউজারকে নির্দেশ দেওয়া। চিহ্নগুলিকে প্রায়শই ট্যাগ বলা হয়।
  • ভাষা(Language) শব্দটি সিনট্যাক্সকে বোঝায় যা অন্য কোন ভাষার অনুরূপ।
  • মার্কআপ ভাষা হলো একটি কম্পিউটার ভাষা যা টেক্সট ডকুমেন্টের লেআউট এবং ফরম্যাটিং নিয়মগুলো প্রয়োগ করতে ব্যবহৃত হয়। মার্কআপ ভাষা টেক্সটকে আরও ইন্টারেক্টিভ এবং ডাইন্যামিক করে তোলে।
কিছু মার্কআপ ভাষা-
  • SGML- Standard Generalized Markup Language
  • XML – Extensible Markup Language

HTML ইতিহাস:

জেনেভার সার্ন(CERN) এ কাজ করার সময় টিম বার্নাস-লী(Tim Berners Lee) সর্বপ্রথম HTML আবিস্কার করেন। W3C বা World Wide Web Consortium প্রতিষ্ঠানটি ওয়েব স্ট্যান্ডার্ড অর্থাৎ HTML স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে কাজ করছে। 1995 সালে HTML 2.0 ,1997 সালের জানুয়ারি মাসে HTML 3.2 এবং একই সালের ডিসেম্বর মাসে HTML 4 ভার্সন বাজারে আসে। HTML এর সর্বশেষ ভার্সন হচ্ছে HTML 5।

HTML এর সুবিধাসমূহঃ

১। যেকোন ওয়েবপেইজের টেমপ্লেট তৈরি করা যায়।
২। এটি একটি ইউজার ফ্রেন্ডলি ওপেন টেকনোলজি।
৩। HTML দ্বারা তৈরি ওয়েবপেইজ সকল ব্রাউজার সাপোর্ট করে।
৪। সিনটেক্স সহজ তাই HTML শেখা সহজ।
৫। যেকোনো টেক্সট এডিটরে কোড লেখা যায়।
৬। ওয়েবপেইজের সাইজ কম হওয়াতে হোস্টিং স্পেস কম লাগে, অর্থাৎ খরচ কম হয়।
৭। HTML কোন কেস সেনসিটিভ ভাষা নয়।
৮। HTML প্লাটফর্ম ইন্ডিপেন্ডেন্ট। অর্থাৎ যেকোন কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম (Apple, Windows, Linux ) এবং যেকোন এম্বেডেড ডিভাইসের অপারেটিং সিস্টেমে(Android, IOS, JAVA, Chrom) ব্যবহৃত হয়।
৯। ২১৬ টি ওয়েব কালার সাপোর্ট করে।

HTML এর অসুবিধাসমুহঃ

১। শুধুমাত্র স্ট্যাটিক ওয়েবপেইজ তৈরি করা যায়।
২। সাধারণ ছোট একটি ওয়েবপেইজ তৈরি করতেও অনেক কোড লিখতে হয়।

HTML ট্যাগঃ

HTML ট্যাগ হলো এক ধরণের লুকায়িত কীওয়ার্ড যা এঙ্গেল ব্রাকেট(< >) দ্বারা আবদ্ধ থাকে। একটি ওয়েবপেইজের তথ্য বা বিষয়বস্তু ব্রাউজারে কীভাবে বিন্যাস এবং প্রদর্শন করবে তা সুনির্দিষ্ট করে। ট্যাগকে এলিমেন্ট ও বলা হয়।
একটি ট্যাগের সাধারণত দুইটি অংশ থাকে । একটিকে বলা হয় ওপেনিং ট্যাগ এবং অন্যটি ক্লোজিং ট্যাগ। ওপেনিং এবং ক্লোজিং ট্যাগের নাম একই, তবে পার্থক্য হলো, ক্লোজিং ট্যাগে একটি স্ল্যাস(/) থাকে। HTML ট্যাগের সিনট্যাক্স-
যেমনঃ <p> </p>, <a> </a> ইত্যাদি।
কিছু ট্যাগ এম্পটি। অর্থাৎ ক্লোজিং ট্যাগ থাকে না। যেমনঃ <br>, <hr>, <img>, <link>, <meta>, <base> ইত্যাদি।
ট্যাগগুলো কেস সেনসেটিভ না। যদি কোনও ট্যাগ লিখার সময় এঙ্গেল ব্র্যাকেট(<>) না দেওয়া হয়, তবে ব্রাউজারটি ট্যাগের নামটিকে একটি সাধারণ টেক্সট হিসাবে বিবেচনা করবে।

HTML ট্যাগ দুই প্রকার। যথা –

১। কনটেইনার ট্যাগ
২। এম্পটি ট্যাগ

কন্টেইনার ট্যাগ এবং এম্পটি ট্যাগ এর মধ্যে পার্থক্যঃ 

এম্পটি ট্যাগকে Void Element ও বলা হয়।

ডেপ্রিকেটেড ট্যাগঃ

HTML এর পূর্ব সংস্করণে ব্যবহৃত কিছু ট্যাগ, HTML এর নতুন সংস্করণে ব্যবহারে নিরুতসাহী করা হয়েছে। এ ধরণের ট্যাগকে ডেপ্রিকেটেড ট্যাগ বলে। নিম্নলিখিত ট্যাগসমূহ HTML 5 এ ব্যবহৃত হয় না এবং তাদের ফাংশন CSS দ্বারা আরও ভালভাবে পরিচালনা করা হয় –

HTML এলিমেন্ট:

ওপেনিং ট্যাগ থেকে শুরু করে ক্লোজিং ট্যাগ পর্যন্ত সকল কিছুকে HTML এলিমেন্ট বলে। ওপেনিং ট্যাগ ও ক্লোজিং ট্যাগের মধ্যবর্তী সবকিছুই হলো HTML এলিমেন্ট এর কনটেন্ট।

HTML অ্যাট্রিবিউট:

HTML অ্যাট্রিবিউট হচ্ছে HTML এলিমেন্ট সমূহের বৈশিষ্ট্য নির্ধারক। একটি ট্যাগের এক বা একধিক অ্যাট্রিবিউট থাকতে পারে। ট্যাগের একাধিক অ্যাট্রিবিউট থাকলেও সবগুলো ব্যবহার অত্যাবশ্যকীয় না। তবে কিছু ট্যাগের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু অ্যাট্রিবিউট আছে যার ব্যবহার অত্যাবশ্যকীয়।
যেমন- ছবি যুক্ত করার ক্ষেত্রে <img> ট্যাগে src এবং হাইপারলিঙ্ক করার ক্ষেত্রে <a> ট্যাগে href অ্যাট্রিবিউটের ব্যবহার অত্যাবশ্যকীয়।
অ্যাট্রিবিউট সবসময় ওপেনিং ট্যাগে লিখা হয় এবং কোড লিখার সময় একটি ট্যাগের এক বা একাধিক অ্যাট্রিবিউট লিখা যায়। তবে একটি ট্যাগে একাধিক অ্যাট্রিবিউট লিখার ক্ষেত্রে স্পেস দিয়ে লিখতে হয়।
একটি অ্যাট্রিবিউটের দুটি অংশ থাকে। যথা:
  • Attribute Name
  • Attribute Value
Attribute Value সবসময় ডাবল কোটেশনের (” “) মধ্যে বসে। Attribute Name এবং Attribute Value এর মাঝে  একটি সমান চিহ্ন (=) বসে।

HTML Document বা ওয়েবপেইজের কাঠামোঃ

ওয়েবপেইজ ডিজাইন করার জন্য HTML ব্যবহার করা হয়। HTML দিয়ে তৈরি কোন ওয়েবপেইজের সাধারণত দুইটি সেকশন থাকে। যথা-
  • Head Section (Optional)
  • Body Section
HTML দ্বারা যেকোন ওয়েবপেইজ তৈরি করার জন্য নিমোক্ত স্ট্রাকচার অনুসরণ করতে হয়-

হেড সেকশন (Head Section):

Head Section এ ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ ট্যাগসমূহঃ
হেড সেকশনের সকল ট্যাগ <head></head> ট্যাগের মধ্যে লিখতে হয়। এটি অপশনাল অংশ। এইচএসসি লেভেলে উদ্দীপকের কোড লিখার ক্ষেত্রে হেড সেকশন না লিখলে সমস্যা নেই।

বডি সেকশন (Body Section):

এই সেকশনটি একটি ওয়েবপেইজের মূল অংশ। একটি ওয়েবপেইজে বিভিন্ন ধরণের টেক্সট, গ্রাফিক্স, অডিও, ভিডিও, হাইপারলিংক ইত্যাদি প্রদর্শন করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কোড এই অংশে লেখা হয়।
বডি সেকশনের সকল ট্যাগ <body></body> ট্যাগের মধ্যে লিখতে হয়। অধিকাংশ ট্যাগ এই অংশে লিখা হয়। এই অংশে ব্যবহৃত ট্যাগ সমূহ-
<h1>, <h2>, <h3>, <h4>, <h5>, <h6>, <p>, <br>, <hr>, <b>, <u>, <i>, <del>, <sub>, <sup>, <a>, <img>, <li>, <ul>, <ol>, <li>, <table>, <tr>, <th>, <td>, <caption> ইত্যাদি।
বডি সেকশনে ব্যবহৃত ট্যাগের বিস্তারিত ব্যবহার পরবর্তী লেসনগুলোতে আলোচনা করা হবে। মনে রাখতে হবে হেড সেকশন এবং বডি সেকশন দুটি HTML ট্যাগ এর মধ্যে লিখতে হয়।
<body> ট্যাগে নিমোক্ত অ্যাট্রিবিউটসমূহ ব্যবহার করে ওয়েবপেইজকে আকর্ষণীয় করে তোলা যায়-
উপরের <body> ট্যাগের অ্যাট্রিবিউটসমূহ HTML5 এ সাপোর্ট করে না। অর্থাৎ এই অ্যাট্রিবিউটসমূহকে বলা হয় ডেপ্রিকেটেড অ্যাট্রিবিউট।

ওয়েবপেইজ তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় টুলস সমুহঃ

ওয়েবপেইজ তৈরির ক্ষেত্রে HTML কোড লেখার জন্য একটি এডিটর(Editor) এবং কোডের আউটপুট দেখার একটি ব্রাউজার প্রয়োজন হয়।
এডিটর- Notepad, Notepad++, Sublime Text, Adobe Dreamweaver ইত্যাদি।
ব্রাউজার- Internet Explorer, Microsoft Edge, Google Chrome, Mozilla Firefox, Apple Safari, Opera, Netscape Navigator, Mosaic ইত্যাদি।
HTML হেডিং ট্যাগঃ ওয়েবপেইজে কোন বিষয়ের শিরোনাম দেওয়ার জন্য HTML এ  ৬ ধরণের হেডিং ট্যাগ রয়েছে। যার মধ্যে <h1> হলো সবচেয়ে বড় এবং <h6> সবচেয়ে ছোট। হেডিং ট্যাগ  এর ওপেনিং ট্যাগ এবং ক্লোজিং ট্যাগ এর মধ্যে যা লেখা হয় তা  শিরোনাম হিসাবে দেখায়। এগুলো হলো-
  • <h1> …</h1>
  • <h2> …</h2>
  • <h3> …</h3>
  • <h4> …</h4>
  • <h5> …</h5>
  • <h6> …</h6>
এই কোডটির আউটপুট-








HTML প্যারাগ্রাফ ট্যাগঃ ওয়েবপেইজে কোন তথ্য প্যারাগ্রাফ আকারে দেখানোর জন্য প্যারাগ্রাফ ট্যাগ(<p> .. </p>) ব্যবহার করা হয়। প্যারাগ্রাফ ট্যাগ এর ওপেনিং ট্যাগ এবং ক্লোজিং ট্যাগ এর মধ্যে যা লেখা হয় তা একটি প্যারাগ্রাফ হিসাবে দেখায়। কোডে অনেক লাইন বা স্পেস থাকলেও ব্রাউজারে তা বাদ দিয়ে দেয়। নিচের কোডটির আউটপুট লক্ষ করা যাক-
এই কোডটির আউটপুট-
This paragraph contains a lot of lines in the source code, but the browser ignores it. This paragraph contains a lot of spaces in the source code, but the browser ignores it.

HTML ফরম্যাটিং ট্যাগঃ টেক্সট কে বিভিন্ন ফরমেটে দেখানোর জন্য যেসকল ট্যাগ ব্যবহার করা হয় তাদেরকে ফরম্যাটিং ট্যাগ বলে। কোন টেক্সটকে যে ফরম্যাটে দেখাতে হবে সেই ফরম্যাটিং ট্যাগের ওপেনিং ট্যাগ এবং ক্লোজিং ট্যাগের মধ্যে লিখতে হবে। নিচে বিভিন্ন ফরম্যাটিং ট্যাগের ব্যবহার দেখানো হল-
ট্যাগ ব্যবহার 
<small></small>টেক্সটকে ছোট করে দেখাতে।
<big></big>টেক্সটকে বড় করে দেখাতে।
<em></em>টেক্সটকে ইম্ফেসাইজড করে দেখাতে।
<strong></strong>টেক্সটকে স্ট্রং করে দেখাতে।
<b></b>টেক্সটকে মোটা বা বোল্ড করে দেখাতে।
<i></i>টেক্সটকে ইটালিক বা বাঁকা করে দেখাতে।
<u></u>টেক্সটকে আন্ডারলাইন করে দেখাতে।
<del></del>টেক্সটি কাটা বুঝাতে।
<strike></strike>টেক্সটি কাটা বুঝাতে।
<sub></sub>টেক্সটকে সাবস্ক্রিপ্ট করে দেখাতে।
<sup></sup>টেক্সটকে সুপারস্ক্রিপ্ট করে দেখাতে।
নিচের কোডে <br> ট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে যার কাজ নতুন লাইন শুরু করা। প্রত্যেকটি ট্যাগের আউটপুট ভালোভাবে বুঝার জন্য এই ট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে।  বিভিন্ন ফরম্যাটিং ট্যাগ ও তাদের আউটপুট দেখানো হলো-
এই কোডটির আউটপুট-
ওয়েবপেইজে (a+b)2=a2+2ab+b2 এই সূত্রটি দেখানোর প্রয়োজনীয় HTML কোড।

টেক্সট এর ফন্ট ফেইস ,ফন্ট কালার এবং ফন্ট সাইজ পরিবর্তনঃ  কোন একটি টেক্সট এর ফন্ট ফেইস, ফন্ট কালার এবং ফন্ট সাইজ পরিবর্তনের জন্য টেক্সটি যে ট্যাগের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত সেই ট্যাগের  ওপেনিং ট্যাগে  style  অ্যাট্রিবিউট  এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রোপার্টি যেমন- font-family, font-size, color এর মান সেট করে  টেক্সটটির ফন্ট ফেইস, ফন্ট কালার এবং ফন্ট সাইজ পরিবর্তন করা যায় । ভালোভাবে বোঝার জন্য নিচের কোড এবং আউটপুট-
উপরের কোডটির আউটপুট-
ফন্ট ট্যাগ (<font></font>) ব্যবহার করেও ফন্ট ফেইস, ফন্ট কালার এবং ফন্ট সাইজ পরিবর্তন করা যায়। নিচের কোডটি দেখুন-
উপরের কোডে ফন্ট ট্যাগে size, color ও  face অ্যাট্রিবিউট ব্যবহার করে যথাক্রমে ফন্টের সাইজ, ফন্টের কালার এবং ফন্টের ফেইস নির্ধারণ করা হয়েছে।
ওয়েবপেইজে চিত্র বা ছবি যুক্ত করাঃ আমরা ওয়েবপেইজকে সুন্দর এবং সহজবোধ্য  করার জন্য ওয়েবপেইজে বিভিন্ন প্রকার চিত্র বা ছবি যুক্ত করে থাকি। ওয়েবপেইজে কোনো চিত্র বা ছবি যুক্ত করার জন্য <img> অথবা <img/> ট্যাগ ব্যবহার করা হয়। ওয়েবপেইজে সাধারণত JPG/JPEG(Joint Photographic Experts Group),PNG(Portable Network Graphics), GIF(Graphics Interchange Format), SVG (Scalable Vector Graphics), BMP(bitmap) ইত্যাদি ফরম্যাটের ছবি যুক্ত করা হয়।
  • গঠন:  <img src=”image_path/image_file_name.Image_extension”>
  • উদাহরণ:  <img src=”logo.png”>
  • এখানে, src অ্যাট্রিবিউটে logo হলো চিত্রের নাম এবং png চিত্রের এক্সটেনশন বা ফরমেট।

<img> ট্যাগে ব্যবহৃত অ্যাট্রিবিউটসমূহঃ 
অ্যাট্রিবিউটমানব্যবহার 
srcimage_path/name.formatছবির পাথ, নাম ও ফরমেট নির্ধারন করতে ব্যবহৃত হয়।
widthany number(pixel)ছবির প্রস্থ নির্ধারন করতে ব্যবহৃত হয়।
heightany number(pixel)ছবির উচ্চতা নির্ধারন করতে ব্যবহৃত হয়।
altalternative textছবি লোড না হলে অল্টারনেটিব টেক্সট প্রদর্শন করতে ব্যবহৃত হয়।
borderpixelsপিক্সেলে ছবির বর্ডারের প্রস্থ নির্ধারন করতে ব্যবহৃত হয়।
aligntop,bottom,middle,left
right
ছবির অ্যালাইন নির্ধারন করতে ব্যবহৃত হয়।

Size নির্ধারণ: উপরের উদাহরণে ছবির জন্য শুধুমাত্র ছবির নাম লেখা হয়েছে, এর ফলে ছবি/চিত্রটি যে সাইজের আছে অবিকল সেই সাইজেরই প্রদর্শিত হবে। কিন্তু বিভিন্ন প্রয়োজনে ভিন্ন ভিন্ন সাইজের ছবি ওয়েবপেইজে যুক্ত করতে হয়, তাই ট্যাগের মধ্যে width ও height অ্যাট্রিবিউট ব্যবহার করে যথাক্রমে ছবির প্রস্থ এবং উচ্চতা নির্দিস্ট করে দেওয়া যায়। যদি চিত্রের সাইজ 200×150  দেওয়া থাকে, তাহলে বুঝতে হবে প্রথম সংখ্যাটি( ২০০) প্রস্থ নির্দেশ করে  এবং দ্বিতীয় সংখ্যাটি(১৫০) উচ্চতা নির্দেশ করে।
যেমন− <img src=”logo.png” width=”200” height=”150”>
এখানে, প্রস্থ ২০০  প্রিক্সেল এবং উচ্চতা ১৫০ প্রিক্সেল উল্লেখ করা হয়েছে। এর ফলে ছবির আসল সাইজ যা-ই হোক না কেন উল্লিখিত সাইজেই ওয়েবপেইজে প্রদর্শিত হবে।
src অ্যাট্রিবিউট : চিত্র এবং ওয়েবপেইজটি একই ফোল্ডারে থাকলে শুধু  চিত্রের নাম এবং ফরমেট লিখলেই চলে। অন্যথায় চিত্রের সম্পূর্ণ পাথ লিখতে হয়। যেমন- F ড্রাইভের  picture ফোল্ডারের মধ্যে রাখা logo.jpg নামক একটি চিত্র ডেস্কটপে রাখা একটি ওয়েবপেইজে যুক্ত করতে প্রয়োজনীয় কোড-
<img src=”F:\picture\logo.jpg”>
উদাহরণ-১ঃ E ড্রাইভের photo ফোল্ডারে  রাখা logo.jpg নামক ছবিটি 200×300 আকারে ওয়েবপেইজে যুক্ত করার HTML কোড। 
    
হাইপারলিঙ্কঃ হাইপারলিঙ্ক এর মাধ্যমে একটি ওয়েবপেইজের সাথে অন্য একটি ওয়েবপেইজ/ডকুমেন্টের সংযোগ করা হয়। ওয়েবপেইজকে ব্যবহার বান্ধব করার  জন্য হাইপারলিংক একটি গুরৃত্বপূর্ণ ভৃমিকা পালন করে। হাইপারলিংক হচ্ছে একটি শব্দ/শব্দগুচ্ছ/ছবি যার উপর ক্লিক করলে অন্য একটি ওয়েবপেইজ/ডকুমেন্ট ওপেন হয়। ওয়েবপেইজ ব্রাউজ করার সময় আমরা যখন হাইপারলিংক শব্দ/ শব্দগুচ্ছ/ ছবি এর উপর মাউস কার্সর নেই তখন কার্সর এর আকার পরিবর্তন হয়। HTML এ এঙ্কর (<a> </a>) ট্যাগ ব্যবহার করে হাইপারলিংক করা হয়।
গঠন:  <a href= “url” > link text/image </a>
এখানে,  url  দ্বারা বুঝানো হয়েছে, যে ওয়েবপেইজ/ডকুমেন্টটির সাথে লিংক করা হবে তার ঠিকানা, এবং link text/image  হল হাইপারলিংক শব্দ বা ছবি যা ওয়েবপেইজে প্রদর্শন করবে এবং যার উপর ক্লিক করলে কাঙ্খিত পেইজ/ডকুমেন্ট ওপেন হবে।
হাইপারলিঙ্ক  এর প্রকারভেদঃ হাইপারলিঙ্ক সাধারণত তিন ধরণের।যথা-
  • ১। গ্লোবাল হাইপারলিঙ্কঃ অন্য কোন ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেইজের সাথে লিংক করা।
  • ২। লোকাল হাইপারলিঙ্কঃ একই ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ওয়েবপেইজের সাথে লিংক করা।
  • ৩। ইন্টারনাল হাইপারলিঙ্কঃ একই ওয়েবপেইজের বিভিন্ন সেকশনের সাথে লিংক করা।
<a> ট্যাগে ব্যবহৃত অ্যাট্রিবিউটসমূহঃ 
অ্যাট্রিবিউটমানব্যবহার 
hrefurlযে ডকুমেন্টটির সাথে লিংক করা হবে তার অ্যাড্রেস নির্ধারন করতে ব্যবহৃত হয়।
target_blankলিংক করা ডকুমেন্টটি নতুন  উইন্ডো বা নতুন ট্যাবে ওপেন করতে ব্যবহৃত হয়।
_selfলিংক করা ডকুমেন্টটি একই  উইন্ডো বা একই ট্যাবে ওপেন করতে ব্যবহৃত হয়। (By default)
_parentলিংক করা ডকুমেন্টটি প্যারেন্ট ফ্রেমে ওপেন করতে ব্যবহৃত হয়।
_topলিংক করা ডকুমেন্টটি কারেন্ট ট্যাবে ওপেন করতে ব্যবহৃত হয়।
styletext-decoration:noneলিংক টেক্সট এর আন্ডারলাইন মুছতে ব্যবহৃত হয়।

উদাহরণ-১:
উপরের কোড লেখা ওয়েবপেজটি ওপেন করলে, পেইজে  EduPointBD টেক্সটি দেখা যাবে এবং এর উপর ক্লিক করলে EduPointBD এর ওয়েবসাইটটি ওপেন হবে।

উদাহরণ-২:
উপরের কোড লেখা ওয়েবপেজটি ওপেন করলে, পেইজে  একটি চিত্র অর্থাৎ লোগো  দেখা যাবে এবং এর উপর ক্লিক করলে EduPointBD এর ওয়েব সাইটটি ওপেন হবে।

ওয়েবপেইজে অডিও যুক্ত করার কোডঃ 

ওয়েবপেইজে ভিডিও যুক্ত করার কোডঃ 

HTML লিস্ট : অনেকসময় ওয়েবপেইজের তথ্য লিস্ট আকারে অর্থাৎ আইটেমগুলোকে নাম্বারিং বা পয়েন্ট আকারে প্রকাশ করার প্রয়োজন হয়। তথ্য লিস্ট আকারে প্রদর্শনের জন্য HTML এ তিন ধরনের লিস্ট আছে। যথা-

  • ১। অর্ডারড লিস্ট (Ordered List)
  • ২। আনঅর্ডারড লিস্ট (Unordered List)
  • ৩। ডেসক্রিপশন লিস্ট (Description List)

 

Ordered List: অর্ডারড লিস্টের আইটেমগুলো সাধারণত অর্ডারিং বা নাম্বারিং করা থাকে। অর্ডারড লিস্ট তৈরি করার জন্য <ol>…</ol> ট্যাগ এবং লিস্ট আইটেম তৈরি করার জন্য <li>…<li> ট্যাগ ব্যবহার করা হয়। অর্ডার এর প্রকৃতি কেমন হবে তা <ol>…</ol>  বা <li>…<li> ট্যাগের ওপেনিং ট্যাগে type অ্যাট্রিবিউট এর মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়। যদি কোন type উল্লেখ না থাকে তাহলে Numbered list তৈরি হয়।

অর্ডারড লিস্টে type অ্যাট্রিবিউট এর ব্যবহারঃ

type অ্যাট্রিবিউটব্যবহার
type=”1″লিস্টের অর্ডারড হবে 1,2,3,4….
type=”a”লিস্টের অর্ডারড হবে a,b,c,d…..
type=”A”লিস্টের অর্ডারড হবে A,B,C,D….
type=”i”লিস্টের অর্ডারড হবে i,ii,iii,iv….
type=”I”লিস্টের অর্ডারড হবে I,II,III,IV….

নিচের অর্ডারড  লিস্টগুলো তৈরির জন্য HTML কোডটি দেখ-  

অর্ডারিং বা নাম্বারিং কত থেকে শুরু হবে তা <ol>…</ol> ট্যাগের ওপেনিং ট্যাগে start অ্যাট্রিবিউট এর মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়। যেমন- start =”3″ হলে, অর্ডারিং বা নাম্বারিং শুরু হবে তৃতীয় অবস্থান থেকে।

নিচের অর্ডারড  লিস্টগুলো তৈরির জন্য HTML কোডটি দেখ-  

 

Unordered List: আনঅর্ডারড লিস্টের আইটেমগুলো সাধারণত বুলেট পয়েন্ট আকারে থাকে।আনঅর্ডারড লিস্ট তৈরি করার জন্য <ul>…</ul> ট্যাগ এবং লিস্ট আইটেম তৈরি করার জন্য <li>…<li> ট্যাগ ব্যবহার করা হয়। আনঅর্ডারড এর প্রকৃতি কেমন হবে তা <ul>…</ul> বা <li>…<li> ট্যাগের ওপেনিং ট্যাগে type অ্যাট্রিবিউট এর মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়। যদি কোন type  উল্লেখ না থাকে তাহলে Disc bullets list তৈরি হয়।

আনঅর্ডারড লিস্টে type অ্যাট্রিবিউট এর ব্যবহারঃ

type অ্যাট্রিবিউটব্যবহার
type=”disc”
  • লিস্টের বুলেট পয়েন্ট
type=”circle”
  • লিস্টের বুলেট পয়েন্ট
type=”square”
  • লিস্টের বুলেট পয়েন্ট

 

নিচের আনঅর্ডারড লিস্টগুলো তৈরির জন্য HTML কোডটি দেখ-  

 

Nested List: একটি লিস্টের মধ্যে যখন অন্য একটি লিস্ট তৈরি করা হয়, তখন তাকে নেস্টেড লিস্ট বলে। এক্ষেত্রে  অর্ডারড লিস্টের মধ্যে আনঅর্ডারড লিস্ট থাকতে পারে। আবার অর্ডারড লিস্টের মধ্যে অর্ডারড লিস্ট এবং আনঅর্ডারড লিস্টের মধ্যে আনঅর্ডারড লিস্টও থাকতে পারে।

নিচের নেস্টেড লিস্টগুলো তৈরির জন্য HTML কোডটি দেখ-  

 

নিচের নেস্টেড লিস্টগুলো তৈরির জন্য HTML কোডটি দেখ-  

 

Description List: ওয়েবপেইজে কোন টার্ম এবং তার বর্ণনা সহকারে কোন লিস্ট তৈরি করতে ডেসক্রিপশন লিস্ট ব্যবহৃত হয়। ডেসক্রিপশন লিস্ট তৈরি করার জন্য ডেসক্রিপশন লিস্ট (<dl> </dl>) ট্যাগ ব্যবহৃত হয়। ডেসক্রিপশন লিস্ট ট্যাগ এর মধ্যে  টার্ম  এবং ডেসক্রিপশন তৈরির জন্য যথাক্রমে <dt> </dt> এবং <dd></dd> ট্যাগ ব্যবহৃত হয়। <dt> এবং <dd> এদের ক্লোজিং ট্যাগ না দিলেও সমস্যা নেই।

নিচের ডেসক্রিপশন লিস্টগুলো তৈরির জন্য HTML কোডটি দেখ-  

 

HTML দ্বারা টেবিল তৈরিঃ

ওয়েবপেইজ বা ওয়েবসাইট তৈরি করার উদ্দেশ্যই হল বিশ্বব্যাপী কোন তথ্য উপস্থাপন করা। এক্ষেত্রে অনেকসময় বিভিন্ন উপাত্ত এবং তথ্য সারণি বা টেবিল আকারে উপস্থাপন করার প্রয়োজন হয়। টেবিলের বিভিন্ন এলিমেন্টসমূহ-


 

  • HTML টেবিল তৈরি করার জন্য  <table>…</table> ট্যাগ ব্যবহৃত হয়। একটি টেবিলের সকল উপাদানগুলো <table>…</table> ট্যাগ এর মধ্যে থাকে।
  • প্রতিটি টেবিলে ঐচ্ছিক উপাদান হিসেবে টেবিলের উপরে ক্যাপশন থাকতে পারে। ক্যাপশন লেখার জন্য <caption>–</caption> ট্যাগ ব্যবহৃত হয়।
  • টেবিলের প্রতিটি সারি (row) তৈরি করার জন্য <tr>…</tr> ট্যাগ ব্যবহার করা হয়। উপরের টেবিলে তিনটি সারি(row) রয়েছে যেখানে প্রথম, দিতীয় ও তৃতীয় সারিতে তিনটি করে সেল(cell) রয়েছে। অর্থাৎ সারি(row) এর মধ্যে সেলগুলো(cell) লিখা হয়।
  • টেবিলে দুই ধরণের সেল(cell) থাকে। এক ধরণের সেল(cell) এ টেবিল হেডার থাকে এবং অপর ধরণের সেল(cell) এ টেবিল ডেটা থাকে।
  • টেবিলের হেডার সেল তৈরি করার জন্য <th>…</th> ট্যাগ এবং ডেটা/অবজেক্ট সেল তৈরি করার জন্য <td>…</td> ট্যাগ ব্যবহার করা হয়। <th>…</th> এবং <td>…</td> ট্যাগ দুইটি সবসময় <tr>…</tr> ট্যাগের মধ্যে ব্যবহৃত হয়।
  • টেবিল হেডার বাই-ডিফল্ট বোল্ড হয় এবং সেলের কেন্দ্রে(centered) থাকে অপরদিকে টেবিল ডেটা বাই-ডিফল্ট নরমাল এবং সেলের বামে(left aligned) থাকে।

 

<table> ট্যাগের অ্যাট্রিবিউটসমূহ ও ব্যবহারঃ

<tr> ট্যাগের অ্যাট্রিবিউটসমূহ ও ব্যবহারঃ

<td> ও <th> ট্যাগের অ্যাট্রিবিউটসমূহ ও ব্যবহারঃ

<td>, <th> ও <tr>  ট্যাগের  valign”  অ্যাট্রিবিউট ও ব্যবহারঃ

টেবিলের সেল এর কনটেন্ট উল্লম্ব বরাবর অবস্থান নির্ধারণে valign অ্যাট্রিবিউট ব্যবহৃত হয়। 

Syntax:

<tag_name valign = “top | middle | bottom | baseline”>

অ্যাট্রিবিউটের মানঃ

  • top: এটি সেলের কনটেন্টকে  টপে সেট করে
  • middle: এটি সেলের কনটেন্টকে মিডিলে সেট করে
  • bottom: এটি সেলের কনটেন্টকে বোটমে সেট করে
  • baseline: এটি সেলের কনটেন্টকে বেসলাইনে সেট করে। বেসলাইন হলো সেই লাইন যেখানে বেশিরভাগ অক্ষর অবস্থান করে।

 

উদাহরণ-১ঃ নিচের টেবিলটি ওয়েবপেইজে প্রদর্শনের জন্য প্রয়োজনীয় HTML কোডটি দেখ।  

 

উদাহরণ-২ঃ নিচের টেবিলটি ওয়েবপেইজে প্রদর্শনের জন্য প্রয়োজনীয় HTML কোডটি দেখ।  

 

উদাহরণ-৩ঃ নিচের টেবিলটি ওয়েবপেইজে প্রদর্শনের জন্য প্রয়োজনীয় HTML কোডটি দেখ।  

উপরের টেবিলটিতে contact ধারণকারী সেলটি  দুটি  সারিকে মার্জ বা একত্র করছে। তাই rowspan অ্যাট্রিবিউট ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে rowspan =”2″ হবে। কারণ দুটি সারিকে একত্র করছে। অর্থাৎ যতগুলো সারিকে একত্র করবে rowspan অ্যাট্রিবিউট এর মান তত হবে। 

 

উদাহরণ-৪ঃ নিচের টেবিলটি ওয়েবপেইজে প্রদর্শনের জন্য প্রয়োজনীয় HTML কোডটি দেখ।  

উপরের টেবিলটিতে contact ধারণকারী সেলটি  দুটি কলামকে মার্জ বা একত্র করছে। তাই colspan অ্যাট্রিবিউট ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে colspan =”2″ হবে। কারণ দুটি কলামকে একত্র করছে। অর্থাৎ যতগুলো কলামকে একত্র করবে colspan অ্যাট্রিবিউট এর মান তত হবে। 

 

উদাহরণ-৫ঃ নিচের টেবিলটি ওয়েবপেইজে প্রদর্শনের জন্য প্রয়োজনীয় HTML কোডটি দেখ।  

টেবিলের সেলসমূহের মাঝে বাই-ডিফল্ট স্পেস 1px থাকে। যদি সেলসমূহের মাঝে স্পেস 1px এর বেশি থাকে তখন cellspacing অ্যাট্রিবিউট ব্যবহার করতে হবে। উপরের টেবিলটির সেলগুলোর মাঝে 1px এর বেশি স্পেস আছে। তাই cellspacing অ্যাট্রিবিউট ব্যবহার করতে হবে।   

 

উদাহরণ-৬ঃ নিচের টেবিলটি ওয়েবপেইজে প্রদর্শনের জন্য প্রয়োজনীয় HTML কোডটি দেখ। 

 

উপরের টেবিলটির সেলগুলোতে প্যাডিং আছে। তাই cellpadding অ্যাট্রিবিউট ব্যবহার করতে হবে। প্যাডিং হলো সেলের বর্ডার এবং কনটেন্ট এর মধ্যবর্তী দূরত্ব।

 

উদাহরণ-৭ঃ নিচের টেবিলটি ওয়েবপেইজে প্রদর্শনের জন্য প্রয়োজনীয় HTML কোডটি দেখ।  

উপরের টেবিলে দ্বিতীয় সারিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেলসমূহের কনটেন্টগুলোর উল্লম্ব বরাবর অবস্থান যথাক্রমে টপ, মিডিল ও বোটম এ। 

তৃতীয় সারিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেলসমূহের কনটেন্টগুলোর উল্লম্ব বরাবর অবস্থান যথাক্রমে  বোটম, মিডিল ও টপ এ। 

তাই valign অ্যাট্রিবিউট ব্যবহার করতে হবে। 

 

উদ্দীপক অনুসারে প্রশ্নের উত্তর দাওঃ 

গ) উদ্দীপক টেবিলটি ওয়েবপেইজে দেখানোর html কোড লিখ।

সমাধানঃ


উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নের উত্তর দাওঃ

রানা একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে যেখানে home.html এবং about.html নামে দুটি ওয়েবপেইজ তৈরি করে। হোম পেইজে নিমোক্ত টেবিলটি দেখায় এবং about.html পেইজের সাথে হাইপারলিংক করে।

গ) উদ্দীপক টেবিলটি ওয়েবপেইজে দেখানোর html কোড লিখ।

সমাধানঃ


 উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নের উত্তর দাওঃ  

গ) উদ্দীপক টেবিলটি ওয়েবপেইজে দেখানোর html কোড লিখ।

সমাধানঃ


উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নের উত্তর দাওঃ 

গ) উদ্দীপক টেবিলটি ওয়েবপেইজে দেখানোর html কোড লিখ।


ঘ) উদ্দীপক টেবিলের সকল সারি(Row) কে  স্তম্ভে (Column) এবং সকল স্তম্ভকে সারিতে পরিণত করলে যে টেবিল তৈরি হবে তা ওয়েবপেইজে দেখানোর জন্য html কোড লিখ।

সমাধান (গ) ঃ 

 

সমাধান (ঘ) ঃ  

উদ্দীপক টেবিলের সকল সারি(Row) কে  স্তম্ভে (Column) এবং সকল স্তম্ভকে সারিতে পরিণত করলে নিচের টেবিলটি তৈরি হবে-

প্রাপ্ত টেবিলের এইচটিএমএল কোড-


উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নের উত্তর দাওঃ


গ) উদ্দীপক টেবিলটি ব্রাউজারে দেখানোর html কোড লিখ।

সমাধানঃ


উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নের উত্তর দাওঃ

গ) উদ্দীপক টেবিলটি ওয়েবপেইজে দেখানোর html কোড লিখ।

সমাধানঃ


উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নের উত্তর দাওঃ

 

 

 

ঘ) উদ্দীপক টেবিলটি ওয়েবপেইজে দেখানোর জন্য html কোড লিখ।

সমাধানঃ


উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নের উত্তর দাওঃ

গ) উদ্দীপক টেবিলটি ওয়েবপেইজে দেখানোর জন্য html কোড লিখ।

সমাধানঃ


 উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নের উত্তর দাওঃ 

গ) উদ্দীপক টেবিলটি ওয়েবপেইজে দেখানোর জন্য html কোড লিখ।

সমাধানঃ


উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নের উত্তর দাওঃ 

ঘ) উদ্দীপক টেবিলটি ওয়েবপেইজে দেখানোর html কোড লিখ।

সমাধানঃ


 উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নের উত্তর দাওঃ 

ঘ) উদ্দীপক টেবিলটি ওয়েবপেইজে দেখানোর html কোড লিখ।

সমাধানঃ


 উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নের উত্তর দাওঃ 


ঘ) উদ্দীপক টেবিলটি ওয়েবপেইজে দেখানোর html কোড লিখ।

সমাধানঃ


 উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নের উত্তর দাওঃ 

গ) উদ্দীপক টেবিলটি ওয়েবপেইজে দেখানোর html কোড লিখ।

সমাধানঃ

 


 ওয়েবপেইজ ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট: ওয়েবসাইটের কনটেন্টগুলো বিভিন্ন ওয়েবপেইজের কোন অংশে কিভাবে প্রদর্শিত হবে তা নির্ধারন করাকে ওয়েবপেইজ ডিজাইন বলা হয়। ওয়েবপেইজ ডিজাইন সাধারণত গ্রাফিক্স সফটওয়্যার যেমন ফটোশপ দিয়ে করা হয় এবং তা পরবর্তীতে HTML ব্যবহার করে ওয়েবপেইজ ডেভেলপ বা তৈরি করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন সার্ভার-সাইড স্ক্রিপটিং ভাষা ব্যবহার করে ডেটাবেজ থেকে ডেটা ওয়েবপেইজে প্রদর্শন করা হয়।  অর্থাৎ ওয়েবপেইজ ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট করে একটি পুর্নাংগ ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়।

ওয়েবপেইজ ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করা হয়- 

  • ১। তথ্য সংগ্রহ
  • ২। পরিকল্পনা
  • ৩। ইনফরমেশন আর্কিটেকচার
  • ৪। ডিজাইন
  • ৫। উন্নয়ন
  • ৬। টেস্টিং
  • ৭। রক্ষণাবেক্ষণ

 

তথ্য সংগ্রহঃ যে বিষয়বস্তু ওয়েবসাইটে থাকেবে তার সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয় এই ধাপে।

পরিকল্পনাঃ প্রথমেই ওয়েবসাইট তৈরির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্দিস্ট করতে হয়। ওয়েবসাইটে কী কী বিষয়বস্তু থাকবে তার পরিকল্পনা করা। কোন লেভেলের ব্যবহারকারী টার্গেট তার পরিকল্পনা করা ইত্যাদি কাজগুলো এই ধাপে সম্পন্ন করা হয়।

ইনফরমেশন আর্কিটেকচারঃ এই ধাপে ওয়েবসাইটের জন্য ওয়েবসাইট কাঠামো নির্ধারন করা হয়। এক্ষেত্রে কোন ধরণের ওয়েবসাইট তার উপর ভিত্তি করে ওয়েবসাইটের কাঠামো নির্ধারন করা হয়।

ডিজাইনঃ এই ধাপে ওয়েবসাইটের পেইজগুলোর লে-আউট কেমন হবে তা নির্ধারন করা হয়। অর্থাৎ  তথ্যগুলো ওয়েবপেইজের কোন অংশে কীভাবে প্রদর্শিত হবে তা নির্ধারন করা। এই কাজটি বিভিন্ন ডিজাইনিং টুল যেমন- ফটোশপ, এক্সেল ইত্যাদির সাহায্যে করা হয়।

উন্নয়নঃ পূর্ববর্তী ধাপে করা ডিজাইন দেখে HTML ব্যবহার করে ওয়েবপেইজের মূল কাঠামো  তৈরি করা হয়। CSS ব্যবহার করে পেইজগুলোর স্টাইলিং নির্ধারন করা হয়। এছাড়া যদি ওয়েবসাইটটি ডাইনামিক হয় তাহলে ডেটাবেজ তৈরি ও সার্ভার-সাইড স্ক্রিপ্টিং ভাষা ব্যবহার করে ডেটাবেজের সাথে কানেকশন তৈরি করে একটি পূর্ণাংগ ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়।

টেস্টিংঃ এই ধাপে ওয়েবসাইট তৈরির পর বিভিন্ন ব্রাউজারের সাহায্যে আউটপুট চেক করা হয়। এক্ষেত্রে ওয়েবপেইজ গুলোর লে-আউট সকল ব্রাউজারে একই দেখায় কিনা তা চেক করা, ওয়েবপেইজ লোডিং টাইম পর্যবেক্ষন করা, ওয়েবপেইজগুলো রেস্পসিভ কিনা তা চেক করা ইত্যাদি কাজগুলো এই ধাপে করা হয়।

রক্ষণাবেক্ষণঃ এই ধাপে একটি ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা এবং ব্যাকআপ নিশ্চিত করা হয়। এছাড়া যুগোপযোগী করে ওয়েবসাইটটি প্রতিনিয়ত পরিবর্তন ও পরিমার্জন করা হয়।

 

ওয়েবসাইট পাবলিশিংঃ একটি ওয়েবসাইট তৈরির মূল উদ্দেশ্য হল সেটি যেন বিশ্বের যেকোন স্থান থেকে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের মাধ্যমে ব্যবহারকারী দেখতে পারে। একটি ওয়েবসাইটকে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা ইন্টারনেটে প্রকাশের প্রক্রিয়াকেই ওয়েবসাইট পাবলিশিং বলা হয়ে থাকে। এজন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার পর সেটিকে সার্ভারে সংরক্ষন করতে হয় (যেটিকে হোস্টিং বলা হয়ে থাকে) এবং পাশাপাশি এটিকে সনাক্ত করার জন্য এর অদ্বিতীয় নামকরণের প্রয়োজন হয় (যেটি ডোমেইন নেইম হিসাবে অভিহিত)।

কোনো ওয়েবসাইট পাবলিশ করার জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলো সম্পন্ন করতে হয়- 

১। ডেমেইন নেইম রেজিস্ট্রেশন: প্রথমে ওয়েবসাইটের সুন্দর একটি নাম যা সহজেই মনে রাখা যায় এবং অর্থবোধক হয় তা নির্বাচন করে সেই নামের ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করে এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে। কোম্পানিগুলোর নিজস্ব কিছু নিয়মকানুন এবং ফি  নির্ধারিত আছে। যে কেউ ফি পরিশোধ করে পছন্দ মতো ডোমেইন নেইম রেজিস্ট্রেশন করতে পারে। রেজিস্ট্রেশনের পূর্বে কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। যেমন- যে নামে রেজিস্ট্রেশন করতে ইচ্ছুক সে নাম অন্য কেউ ব্যবহার করে কিনা চেক করতে হবে। কারণ একই নামে দুটি রেজিস্ট্রেশন হয় না। রেজিস্ট্রেশনটি নিজের নামে নাকি কোম্পানির নামে হবে। ডোমেইনের সকল প্রশাসনিক ক্ষমতা, বিল ইত্যাদি কার নামে হবে। কার মাধ্যমে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করানো হবে। বিলিং পদ্ধতি কী হবে তা নির্ধারণ করতে হবে। ডোমেইন নেইম রেজিস্ট্রেশন করে এমন কিছু কোম্পানি বা ISP(Internet Service Provider), যেমন- GoDaddy.com, Hostgator.com ইত্যাদি। অর্থের বিনিময়ের পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানি আছে যারা ফ্রি ডোমেইন নেইম রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস প্রদান করে। যেমন- 000webhost.com, freehosting.com ইত্যাদি।

২। ওয়েব সার্ভারে ওয়েবপেইজ হোস্টিং: ওয়েবসাইটের জন্য তৈরিকৃত  ওয়েবপেইজগুলোকে একটি রেজিস্ট্রেশনকৃত ডোমেইন এর আন্ডারে কোন ওয়েব সার্ভারে হোস্ট করাকে ওয়েবপেইজ হোস্টিং বলা হয়। ওয়েব সার্ভার বলতে বিশেষ ধরনের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারকে বুঝায় যার সাহায্যে ঐ সার্ভারে রাখা কোনো উপাত্ত/তথ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে এক্সেস করা যায়। সারা বিশ্বে অনেক হোস্টিং সার্ভিস প্রোভাইডার রয়েছে যারা অর্থের বিনিময়ে ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী হোস্টিং সার্ভিস প্রদান করে। যেমন- GoDaddy.com, Hostgator.com ইত্যাদি। অর্থের বিনিময়ের পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানি আছে যারা ফ্রি হোস্টিং সার্ভিস প্রদান করে। যেমন- 000webhost.com, freehosting.com ইত্যাদি।

৩।  সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন: হোস্টিংকৃত ওয়েবসাইটটি আরো বেশি প্রচারমুখী করার জন্য ওয়েবসাইটটিকে সার্চ ইঞ্জিনের সাথে সংযুক্ত করতে হয়। একটি ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের সাথে যুক্ত করার প্রক্রিয়াকে SEO(Search Engine Optimization) বলা হয়। এটি একটি অপশনাল ধাপ। অর্থাৎ প্রথম দুটি ধাপ সম্পন্ন করে SEO না করলেও একটি ওয়েবসাইট লাইভ থাকে।

হোস্টিং এর প্রকারভেদঃ 

অপারেটিং সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে হোস্টিং দুই প্রকার। যথাঃ উইন্ডোজ হোস্টিং এবং লিনাক্স হোস্টিং।

উইন্ডোজ হোস্টিংঃ যদি ওয়েবসাইট তৈরিতে সার্ভার সাইট স্ক্রিপ্টিং ভাষা হিসেবে ASP(Active Server Page) এবং ডেটাবেজ হিসেবে SQL Server ব্যবহৃত হয়, তখন ঐ ওয়েবসাইটটি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম চালিত সার্ভারে হোস্টিং করতে হয়।

লিনাক্স হোস্টিংঃ যদি ওয়েবসাইট তৈরিতে সার্ভার সাইট স্ক্রিপ্টিং ভাষা হিসেবে PHP( PHP: Hypertext Preprocessor) এবং ডেটাবেজ হিসেবে MySQL ব্যবহৃত হয়, তখন ঐ ওয়েবসাইটটি লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম চালিত সার্ভারে হোস্টিং করতে হয়।

বিভিন্ন ধরণের সুবিধার ওপর ভিত্তি করে হোস্টিং বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে। যথা-

শেয়ারড হোস্টিংঃ শেয়ারড হোস্টিং এর ক্ষেত্রে সার্ভারের মেমোরি স্পেস ও রিসোর্স অন্যান্য ক্লায়েন্টের সাথে শেয়ার করা হয়।রিসোর্স অন্যদের সাথে শেয়ার করার কারণে সার্ভারের কার্যক্রম ধীর গতির হয়ে থাকে। ফলে ওয়েবসাইট লোড হতে বেশি সময় নেয়। যেহেতু অনেক ক্লায়েন্ট একসাথে একই রিসোর্স শেয়ার করে তাই এর নিরাপত্তা কম। তবে এই ধরণের হোস্টিং ডেডিকেটেড হোস্টিং এর চেয়ে খরচ কম। শেয়ারড হোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে ডেটাবেজ, ই-মেইল এবং ব্যান্ডউইথ সব কিছুই সীমিত থাকে। ছোট ওয়েবসাইট এর জন্য এই ধরণের হোস্টিং সবচেয়ে জনপ্রিয়।

ডেডিকেটেড হোস্টিংঃ ডেডিকেটেড হোস্টিং এর ক্ষেত্রে সার্ভারের মেমোরি স্পেস ও রিসোর্স প্রতিটি ক্লায়েন্টের জন্য নির্দিস্ট। অর্থাৎ অন্য ক্লায়েন্টের সাথে শেয়ার করা হয় না। রিসোর্স অন্যদের সাথে শেয়ার না করার কারণে সার্ভারের কার্যক্রম দ্রুত গতির হয়ে থাকে। ফলে ওয়েবসাইট দ্রুত লোড হয়। যেহেতু প্রতিটি ক্লায়েন্ট এর জন্য রিসোর্স ডেডিকেটেড থাকে, অর্থাৎ  রিসোর্স  শেয়ার হয় না, তাই এর নিরাপত্তাও অনেক বেশি। তবে এই ধরণের হোস্টিং শেয়ার হোস্টিং এর চেয়ে খরচ অনেক বেশি।ডেডিকেটেড হোস্টিংয়ে আনলিমিটেড ডেটাবেজ, ই-মেইল এবং ব্যান্ডউইথ সুবিধা থাকে। যদি ওয়েবসাইট অনেক বড় হয় এবং অধিক নিরাপত্তার প্রয়োজন হয়, তখন এই ধরণের হোস্টিং ব্যবহৃত হয়। এই ধরণের হোস্টিং আবার দুই প্রকার। যথা-

ম্যানেজড হোস্টিংঃ হোস্টিং প্রোভাইডার নির্দিস্ট পরিমাণ টাকার বিনিময়ে কন্ট্রোল প্যানেলে সফটওয়্যার ইন্সটল, নিরাপত্তাসহ সবকিছুই প্রদান করে থাকে।

আনম্যানেজড হোস্টিংঃ এই ধরণের হোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে কন্ট্রোল প্যানেলে সফটওয়্যার ইন্সটল, নিরাপত্তাসহ সবকিছুই ওয়েবসাইটের মালিককে করতে হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.