Artificial intelligence


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা- মানুষ যেভাবে চিন্তা ভাবনা করে, কৃত্তিম উপায়ে কোন যন্ত্রকে সেভাবে চিন্তা ভাবনা করার সক্ষমতার রূপদান করাকে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বলে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক – ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ও গণিতবিদ অ্যালান টুরিং (Alan Mathison Turing) .
কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিদ্যার একটি শাখা হচ্ছে- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের ক্ষেত্র হচ্ছে- রোবটিক্স ,
এক্সপার্ট সিস্টেম।
এক্সপার্ট সিস্টেম- এক্সপার্ট সিস্টেম হলো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত এমন একটি সিস্টেম যা মানুষের চিন্তা ভাবনা করার দক্ষতা এবং সমস্যা সমাধানের সক্ষমতাকে একত্রে ধারণ করে । যা মানব মস্তিস্কের মত পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সরবোচ্চ সাফল্য লাভের উদ্দেশ্যে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এই সিস্টেমে বিশাল তথ্য ভাণ্ডার দিয়ে সমৃদ্ধ থাকে, যাকে নলেজবেজ বলা হয়। এই নলেজবেজে যে কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর প্রশ্ন করে উত্তর জেনে নেওয়া যায়।
এক্সপার্ট সিস্টেম এর ব্যবহারঃ
★রোগীর রোগ নিরাময়ে
★বিভিন্ন ডিজাইনের ত্রুটি সংশোধনে
★জেট বিমান চালনায়
★ পরিকল্পনা ও সিডিউল তৈরিতে
★ভূগর্ভস্থ তেল অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে ইত্যাদি।
বিভিন্ন এক্সপার্ট সিস্টেমসমূহঃ
Deep blue: দাবা খেলার বিচারক।
Internist: মেডিক্যাল অফিসার।
Mycin and Cadulus: মেডিক্যাল অফিসার।
Mycsyma: গাণিতিক সমস্যা সমাধান।
Dendral: প্রোগ্রামিং শেখা।
Prospector: খনিজ পদার্থ ও আকরিক অনুসন্ধান।
রোবট- রোবট হচ্ছে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত এক ধরণের ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল যান্ত্রিক ব্যবস্থা যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বা কোন ব্যক্তির নির্দেশে কাজ করতে পারে । এটি তৈরী হয়েছে- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নীতিতে যেটি কাজ করতে পারে- মানুষ কিংবা বিভিন্ন বুদ্ধিমান প্রাণীর মতো যা নিয়ন্ত্রিত হয়- Computer program বা Electronic circuitry দ্বারা।এর কার্যপদ্ধতি হয়ে থাকে- সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় বা আধা-স্বয়ংক্রিয় অর্থাৎ মানুষ ও মেশিন উভয় কর্তৃক পরিচালিত কিংবা দূর নিয়ন্ত্রিত হতে পারে।
রোবোটিক্স- প্রযুক্তির যে শাখায় রোবটের নকশা বা ডিজাইন, গঠন , পরিচালন প্রক্রিয়া, কাজ ও প্রয়োগক্ষেত্র সম্পর্কে আলোচনা করা হয়, সেই শাখাকে রোবোটিক্স বলা হয়।
একটি সাধারণ রোবটে নিচের উপাদান
বা অংশগুলো থাকে–
প্রসেসর– রোবটের মূল অংশ যা রোবটের সকল কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে।
পাওয়ার সিস্টেম– লেড এসিড ব্যাটারি দিয়ে রোবটের পাওয়ার দেওয়া হয় যা রিচারজেবল।
ইলেকট্রিক সার্কিট – রোবটের হাইড্রোলিক ও নিউমেট্ট্রিক সিস্টেমকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়।
অ্যাকচুয়েটর– রোবটের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নডাচড়া করার জন্য বৈদ্যুতিক মটরের সমন্বয়ে তৈরি বিশেষ ব্যবস্থা হলো অ্যাকচুয়েটর।
সেন্সর – রোবটের ইনপুট যন্ত্র হলো সেন্সর। যার মাধ্যমে পরিবেশ থেকে ইনপুট নেয়।
ম্যনিপিউলেশন – রোবটের আশেপাশের বস্তুগুলোর অবস্থান পরিবর্তন বা বস্তুটি পরিবর্তন করার পদ্ধতিকে বলা হয় ম্যনিপিউলেশন।
মুভেবল বডি – রোবটে চাকা , যান্ত্রিক পা এবং স্থানান্তর করা যায় এমন যন্ত্রপাতি ।
রোবটের বৈশিষ্ট্যঃ
♦রোবট সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রিত যা সুনির্দিষ্ট কোন কাজ দ্রুত ও নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করতে পারে।
♦রোবট বিরতিহীন কাজ করতে পারে।
♦রোবট যেকোনো ঝুঁকিপূর্ণ বা অস্বাস্থ্যকর স্থানে কাজ করতে পারে।
♦এটি ঘুরতে ও স্থানান্তরিত হতে পারে।
♦রোবট পূর্ব থেকে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে।
♦দূর থেকে লেজার রশ্মি বা রেডিও সিগন্যালের সাহায্যে রোবট নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
রোবট –এর উল্লেখযোগ্য ব্যবহার গুলো
হলো–
♥রোবটকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয় কম্পিউটার-♥এইডেড ম্যানুফেকচারিং এ বিশেষ করে রোবট ব্যবহৃত হয় যানবাহন ও গাড়ির কারখানায়।
♥যে সমস্থ কাজ করা স্বাভাবিকভাবে মানুষের জন্য বিপজ্জনক যেমন-বিস্ফোরক নিস্ক্রিয়করণ ডুবে যাওয়া জাহজের অনুসন্ধান খনি অভ্যন্তরের কাজ ইত্যাদি কঠোর শারীরিক পরিশ্রমের বা বিপদজ্জনক ও জটিল কাজগুলো রোবটের সাহায্যে করা যায়।
♥কারখানায় কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত রোবটের সাহায্যে নানা রকম বিপজ্জনক ও পরিশ্রমসাধ্য কাজ যেমন- ওয়েল্ডিং, ঢালাই ,ভারী মাল উঠানো বা নামানো যন্ত্রাংশ সংযোজন ইত্যাদির ক্ষেত্রে রোবটিক ডিভাইস বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়।
♥বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের বিল্ডিংসমূহ জুড়ে বিশেষ ধরণের রোবট ব্যবহার করা হয় সেগুলি ব্যবহৃত হয়ে থাকে-♥বিভিন্ন স্টেশনে মেইল ডেলিভারির কাজে- এসব রোবট অনুসরণ করে চলে-আল্ট্রা ভায়োলেট পেইন্ট দিয়ে মার্ক করা রুটগূলোকে।
♥সামরিক ক্ষেত্রেও রোবটের উল্লেখযোগ্য ব্যবহার হচ্ছে- বোমা অনুসন্ধান কিংবা ভূমি মাইন সনাক্ত করা ।
♥চিকিৎসাক্ষেত্রে রোবট সহায়তা করে থাকে- সার্জনদের জটিল অপারেশনে ও নানা ধরণের কাজে।
♥রোবটের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে-মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে।
♥মহাকাশ অভিযানে এখন ব্যবহৃত হচ্ছে- মানুষের পরিবর্তে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্বলিত রোবট ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.