Nano technology


ন্যানো টেকনোলজি – পারমাণবিক বা আণবিক স্কেলে অতিক্ষুদ্র ডিভাইস তৈরি করার জন্য ধাতব বস্তুকে সুনিপুণভাবে কাজে লাগানোর বিজ্ঞানকে ন্যানো টেকনোলজি বলে। ন্যানো শব্দটি গ্রিক nanos শব্দ থেকে এসেছে যার আভিধানিক অর্থ dwarft কিন্তু এটি একটি মাপের একক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। রিচার্ড ফাইনম্যান (Richard Feynman) কে ন্যানো প্রযুক্তির জনক বলা হয়।
১ মিটারের ১০০ কোটি ভাগের এক ভাগকে বলা হয় ১ ন্যানো মিটার। অর্থাৎ 1 nm = 10 m । আর এ ন্যানোমিটার স্কেলে যে সমস্ত টেকনোলজি সম্পর্কিত সেগুলোকেই ন্যানো টেকনোলজি বলে।
ন্যানো টেকনোলজির প্রয়োগক্ষেত্রঃ
♦কম্পিউটার হার্ডওয়্যার তৈরি
♦ন্যানো রোবট
♦ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি
♦জালানি তৈরিতে
♦প্যাকেজিং ও প্রলেপ তৈরি
♦ঔষধ তৈরি
♦খেলাধুলার সামগ্রী
♦মহাকাশ অভিযান
♦বস্ত্র শিল্প
♦কৃত্তিম অঙ্গ–পতঙ্গ তৈরি ইত্যাদি ক্ষেত্রে।
ন্যানো প্রযুক্তির সুবিধা- অসুবিধা
সুবিধা-
★বেশি টেকসই বা স্থায়ী, আকারে তুলনামূলক ছোট এবং ওজনে হালকা।
★ন্যানো টেকনোলজির প্রয়োগে উৎপাদিত ঔষধ “স্মার্ট ড্রাগ” ব্যবহার করে দ্রুত আরগ্য লাভ করা যায়।
★ন্যানো ট্রান্সজিস্টর, ন্যানো ডায়োড, প্লাজমা ডিসপ্লে ইত্যাদি ব্যবহারের ফলে ইলেকট্রনিক শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হচ্ছে।
★ন্যানো প্রযুক্তি দ্বারা তৈরি ব্যাটারি , ফুয়েল সেল,  সোলার সেল ইত্যাদির মাধ্যমে সৌরশক্তিকে অধিক্তর কাজে লাগানো যায়।
অসুবিধা-
★ন্যানো টেকনোলজি ব্যয়বহুল ।
★মানুষের শরীরের জন্য ন্যানোপারটিকেল ক্ষতিকর।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.